Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : আড়াইহাজারে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিছু অসাধু শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা এসব বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নোট বই মুদ্রণ, বাঁধাই, আমদানি, বিতরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ এবং আইন অমান্যকারীদের সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অভিযোগে জানা গেছে , উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা কিছু বইয়ের দোকানে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ করার শর্তে একাধিক অভিভাবক বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের জন্য স্কুলের স্যারের কথা মতো গাইড বই কিনতে হয়েছে। দাম নিয়েছে ৭৫০ টাকা। সৃজনশীল ও অনুশীলনমূলক বইয়ের নামে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করে মুনাফা লুটছে একটি অসাধু চক্র। কয়েকজন বইয়ের দোকানী বলেন, শিক্ষকরা বাধ্য করছে বলেই আমরা বিক্রি করছি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছে শিক্ষকরা। তারা বলছে কোন শিক্ষার্থীকের বাধ্য করে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি কোম্পানীর লোকজন স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলে গিয়ে পড়ালেখার বিঘœ ঘটাচ্ছে। গাইডগুলোর মধ্য রয়েছে, জননী প্রকাশনা, লেকচার প্রকাশনা, পাঞ্জেরী , অনুপম প্রকাশনা রয়েছে। তবে জননী সকলকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আড়াইহাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন জানান, আমরা কোনো বইয়ের দোকানে বা শিক্ষার্থীদের বাধ্য করি নাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবু তালেব বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের নোট বা গাইড বই নিষিদ্ধ। তাই যে কোনো নামেই হোক এ ধরনের গাইড ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষক গাইড ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি প্রতিটি স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের নিকট থেকে লিখিত এনেছি । যাতে গাইড বই না পড়ান। তবে গাইডের কোম্পানীর লোকজন স্কুলে গিয়ে সহায়ক বই হিসেবে শিক্ষকদের কিছু বই দেওয়া অভিযোগ রয়েছে। ’ উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফেজা খাতুন বলেন, আমরা নোট বা গাইড বই নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কোথাও যদি পাওয়া যায় শোকজ করা হবে। গত বছর কয়েকজন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছিল।
আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া খান বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেক গুলো গাইড জব্দ করা হয়েছে। কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ