বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার (রামু) উপজেলা সংবাদদাতা : স্কুল শিক্ষার্থী ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় উল্টো শিক্ষার্থীর বাড়িতেই হামলা চালিয়েছে ইভটিজার ও তার দলবল। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ছদরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
হামলাকারীদের প্রহারে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের ৭ জনসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে।
আহতরা হলেন, রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির ছদরপাড়া এলাকার মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে ফজল আহমদ (৮০), তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে হাবিব উল্লাহ (২৪), মোহাম্মদ উল্লাহ (৩০), আরিফ উল্লাহ (১৯), ছানা উল্লাহ (২০), শহিদ উল্লাহ (৩৬) পুত্রবধূ মনোয়ারা বেগম (২৫), প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ছেলে জমির উদ্দিন (২১) ও মোহাম্মদ নুরুল হক নুরু (১৯)।
আহত কলেজ ছাত্র হাবিব উল্লাহ জানান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনের ইলিয়াছ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার বোনকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত স্থানীয় শামসুল আলম প্রকাশ ফকির শমসুর ছেলে আবছার। সে অনেক মামলার পলাতক আসামি। গত বুধবারও একই ঘটনা ঘটানোয় আবছারকে বোঝানো হয় বিষয়টি ভুল করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সে ভালোভাবে নেয়নি। পরে রাতেই আবছার সরাসরি আমাদের বাড়িতে ঢুকে বোনের গায়ে হাত দেয়। বোনের চিৎকার শুনে আমরা তাকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেই। খবর পাঠানো হয় আবছারের পরিবারের সদস্যদেরও। কিন্তু তারা দা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাতেই হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় সাবেক মেম্বার সৈয়দ আলমসহ সমাজ কমিটির সভাপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে সামাজিকভাবে সমধান হবে এ আশ্বাসে প্রাথমিকভাবে মিমাংসা হয়। কিন্তু রাতের ঘটনার কোনো সুরহা না করে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত আবছারের ভাই শুক্কুর আমার ছোটভাই আরিফ উল্লাহকে উল্টো ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বলে। টাকা না দিলে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলারর হুমকি দেয়। এর রেশ না কাটতে সন্ধ্যায় আমির হামজা ভাই শহিদুল্লাহর উপর হামলা চালায়। এর পরপরই তার ভাই জিয়াউর রহমান, মতিউর রহমান, আব্দু শুক্কুর, তাদের ভাগিনা শওকত হোসেন দা, কিরিচ নিয়ে রাতের আধাঁরে বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আমার বৃদ্ধ বাবা ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের ৭ জন এবং আমাদের উদ্ধার করতে এসে স্থানীয় আরও কয়েকজন আহত হন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।