Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্মীপুরে ভেজাল ঘি’র ছড়াছড়ি মামলা করেও বন্ধ হচ্ছে না বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মো. কাউছার, ল²ীপুর থেকে : ল²ীপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে নকল ও ভেজাল ঘি’র ছড়াছড়ি। বিএসটিআই এর ভূয়া লোগো ও নামি-দামি কোম্পনাীর নাম ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে ভেজাল ঘি। এ দিকে রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারে ভেজাল ঘি বিক্রির মূল হোতা মেসার্স অণিল বণিক এন্ড সন্স এর মালিক পিযুষ বণিক, রাকিব হোসেন নাহিদ ফুড প্রোডাক্টস উত্তর মধ্যম হালিশহর চট্রগ্রাম এর বিরুদ্ধে ল²ীপুর চীফ জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে বিএসটিআই। ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর এ মামলা দায়ের করেন বিএসটিআই চট্রগ্রাম এ ফিল্ড অফিসার রিয়াজ হোসেন মোল্লা। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি পিযুষ বণিনের বিরুদ্ধে গেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। একই বছরে ১৬ ফেব্রæয়ারি পিযুষ বণিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২১ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আবারও শুরু করেন ভেজাল ঘি’র ব্যবসা। সোনাপুর বাজারের বি-সাহার সত্ত¡াধিকারী অপু সাহার ইন্ধনে এসব ঘি বাজারজাত করা হয়। অপু সাহা নিজে নকল ঘি তৈরি করে বাজারজাত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। যেমন রামগঞ্জ ও সমিতিরহাটসহ আশপাশের এলাকায় হোয়াইট কাউ গোল্ড ঘি, প্রিমিয়াম ও পিউর গাওয়া ঘি, রায়পুরে এসএ ঘি, মাদার ল্যান্ড ও হোয়াইট স্পেশাল, সদর উপজেলার পোদ্দার বাজার, মান্দারী খিলপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ ও এসএ ঘি নামে নাহিদ ফুড প্রোডাক্টস উৎপাদিত এসব ঘি নামি-দামি কোম্পনারী মনোগ্রাম ব্যবহার করে এবং লেভেল লাগিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘি’র মূল্যে নেয়া হচ্ছে ৫০০-৫৫০শত টাকা। যার কোনটির নেই বিএসটিআইর অনুমোদন। এসব ঘি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির্পূণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাধারণ মানুষ জানায়, একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে বেশি লাভের আশায় এসব ভেজাল ঘি প্রকাশ্যে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নামি-দামী কোম্পানীর প্যাকেটের ওপর নিজস্ব তৈরিকৃত ভেজাল ঘির মনোগ্রাম লাগিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রামের ভূয়া ঠিকানা দিয়ে এজেন্টদের মাধ্যমে তা বাজারজাত করছে তারা। মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন নামেমাত্র অভিযান চালিয়ে দুই-একজনকে গ্রেপ্তার, জেলজরিমানা ও মামলা করা হয়। আবার জেল থেকে বের হয়ে পুরোদমে ফিরে যায় এ নকল ঘি ব্যবসায়। একই অবস্থায় জেলা সদরসহ অন্য উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারের চিত্র। প্রশাসন দ্রæত অভিযান চালিয়ে অবৈধ মালিক ও ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে ভেজাল ঘি বিত্রিæ বন্ধ করে প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন জেলাবাসী। তবে অপু সাহার দাবী, কোনো ভেজাল ঘি বিক্রি করেন না তিনি। ঘি দোকানে ওপেন বিক্রি করেন। তার বিক্রিকৃত সকল ঘিয়ের বিএসটিআইর অনুমোদন রয়েছে। প্রয়োজনে তার ঘি ল্যাবেটরীতে পাঠিয়ে যাচাই-বাছাই করার দাবি জানান তিনি। অপরদিকে পিযুষ বণিক তার বিরুদ্ধে বিএসটিআইর মামলা ও কারাভোগের কথা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে এসব ঘি বাজারজাত করছেন। তবে প্রয়োজনে তার সাথে দেখা করার অনুরোধও করেন তিনি। পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ