Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে

পটুয়াখালীতে সেনানিবাস উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : সেনাবাহিনীকে যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পবিত্র সংবিধান ও দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধন এবং সদর দফতর ৭ পদাতিক ডিভিশনসহ ১১টি সদর দফতর/ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজে ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী একাগ্রতা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাÐের জন্য সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। যে কোনো দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবা ও জান-মাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর কর্তব্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সবসময় প্রশংসিত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দায়িত্বশীলতা ও সহমর্মিতার সঙ্গে দুর্গতদের সাহায্য, সহযোগিতা করে সশস্ত্র বাহিনী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেনাবাহিনীর সুনামের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ এখন একটি ব্র্যান্ড নেম। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় নবনির্মিত দেশের ৩১তম শেখ হাসিনা সেনানিবাসে’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনীর ৯টি ডিভিশনের আওতায় দেশে ৩০টি সেনানিবাস থাকলেও এতদিন দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় কোনো সেনানিবাস ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলায় বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে ২০০ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হতো। জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাসহ দক্ষিণ উপকূলের ৬ জেলার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মেকাবেলায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার দেড় হাজার একর এলাকায় আনুষ্ঠানিক সূচনা হল ১৭ হাজার জনবলের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সেনানিবাস।
নতুন সেনানিবাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে পায়রা নদীর পাড়ে এই লেবুখালীতে নতুন একটি সেনানিবাস প্রতিষ্ঠায় আপনারা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ দেশপ্রেমিক, পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনীতে উন্নীত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে এই ডিভিশনটি স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। ৭ পদাতিক ডিভিশনকে পূর্ণতা দেয়ার লক্ষ্যে ডিভিশন সদর দফতর এবং দুইটি ব্রিগেড সদর দফতরসহ মোট ১১টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয় অনুষ্ঠানে। এর আগে সকাল সোয়া ১১টার সময় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে সেনানিবাসের বরিশাল অংশের বাকেরগঞ্জ পৌঁছান শেখ হাসিনা। পরে পটুয়াখালীর লেবুখালী অংশে যান এবং রাষ্ট্রীয় অভিবাদন গ্রহণ করেন। সেনানিবাসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, ৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আলম। প্রধানমন্ত্রী নতুন এ সেনানিবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হল, এসএম ব্যারাক, অফিস ভবনসহ ১৫টি স্থাপনা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেনাবাহিনী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ