রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা: ঢাবি হল শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক ঝিনাইদহের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টুর ছেলে এহসান রফিকের উপর চালানো নির্মম নির্যতনের ছবিটি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। বীভৎস্য চেহারার ছবিটি এখন ঘুরছে ফেসবুকজুড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝিনাইদহের সাংবাদিকদরা প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। জেলার সাংবাদিকরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তাদের নিজের ফেসবুক ওয়ালে সোচ্চার হচ্ছেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সাংবাদিক ও মনবকণ্ঠের প্রতিনিধি শাহজান আলী বিপাশ, যুগান্তর প্রতিনিধি শাহরিয়ার রহমান সোহাগ, গ্রামের কাগজের প্রতিনিধি মিঠু শিকদার, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্য চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন, মাছরাঙা টিভির প্রতিনিধি শাহরিয়ার রহমান রকি, শৈলকুপার সাংবাদিক মনিরুজ্জামান সুমন, কোটচাঁদপুরের সাংবাদিক কাজী মৃদুল, একাত্তর টিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধি রাজিব হাসান, যমুনা টিভির নাসির আনসারীসহ অসংখ্য সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মেধাবী ছাত্রকে এভাবে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফেসবুকে। উল্লেখ্য যে ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র এহসান রফিককে অমানুষিক নির্যাতন করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এহসান রফিক ইত্তেফাক ও বৈশাখি টেলিভিশনের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টুর বড় ছেলে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে মঙ্গলবার রাতভর এহসানকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের নির্দেশে মারধর করে। আহত এহসান জানায়, মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক প্রায় তিনমাস আগে তার কাছ থেকে ক্যালকুলেটর ধার নেয়। এহসান ওমর ফারুকের কাছে প্রায়ই ক্যালকুলেটর দাবি করত। কিন্তু ওমর ফারুক ক্যালকুলেটর পরে দিয়ে দিবে বলে ফিরিয়ে দিত। মঙ্গলবার রাতে ওমর ফারুকের কাছে এহসান ক্যালকুলেটর দাবি করলে ওমর ফারুক এহসানকে টিভি রুমে ডেকে নেয়। এসময় টিভিরুমে উপস্থিত ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানিম (আইইআর) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিম ইরতিজা শোভন (উর্দু) ও আবু তাহের (পপুলেশন সাইন্স)। তারা এহসানকে শিবির অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করে। কিন্তু তারা ফেসবুকে কিছুই না পেয়ে জোরপূর্বক শিবির স্বীকারোক্তি আদায়ে তাকে বেদম মারধর করে। তারা মৌখিকভাবে এহসানকে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে হল গেটে বের করে দেয়। সেখানে আরেকধাপ ছাত্রলীগের হল শাখার সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক ও রুহুল আমিন, সদস্য সামিউল ইসলাম সামী, আহসান উল্লাহ, উপ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের নেতৃত্বে রড, লাঠিসোটা দিয়ে বেদম প্রহার করা হয়। মরধরের একপর্যায়ে এহসান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে আরিফ রাত সাড়ে ৩টায় এহসানকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ থেকে গিয়ে এহসানের বাবা সাংবাদিক ও কলেজ শিক্ষক রফিককুল ইসলাম এসে ছেলেকে উদ্ধার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।