রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ থেকে এমদাদুল হক সুমন : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়নের ৩৬ নম্বর জামগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোড়াতালি দেয়া পরিত্যক্ত মাটির কক্ষে চলছে পাঠদান।
বর্তমানে শতবর্ষী এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেও তুলনায় শ্রেণিকক্ষ কম হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত মাটির কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। বিদ্যুৎ ছাড়াই টিনের ছাউনির নিচে গ্রীষ্মের প্রচÐ তাপদাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ করতে হয় এই বিদ্যালয়ে।
পাঁকা রাস্তা ও বিদ্যুৎবিহীন অজোপাড়া ও অবহেলিত এই গ্রামের একমাত্র বিদ্যাপিঠ এই শতবর্ষী স্কুল। ১৯০২ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির হাতে এই বিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হলেও বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। তিন দশক আগে নির্মিত একতলা ভবনগুলোর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। বর্তমান ভবন ও পরিত্যাক্ত ভবন যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অবিভাবক ও সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বারবার অবগত করেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে মোট ২৫৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২০০ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম জানান, বর্তমানে আমাদের এই বিদ্যাপিঠ নানা সমস্যায় জর্জড়িত। মাটির দুটি পরিত্যক্ত কক্ষসহ মোট সাতটি কক্ষ রয়েছে। যার মধ্যে পুরাতন একতলা ভবনের পাঁচটি ও মাটির একটিসহ মোট ছয়টি কক্ষে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। কক্ষ সঙ্কটের কারণে বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত মাটির ভবনের একটি কক্ষ সংস্কার করে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় গ্রীষ্মের সময় টিনের ছাউনির নিচে প্রচÐ তাপদাহের মধ্য ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে ক্লাস করে।
এ ছাড়াও শিক্ষক আটজন থাকার কথা থাকলেও মাত্র ছয়জন শিক্ষক দিয়ে মুখ থুবড়ে চলছে এই বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন যাবত দুইজন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যদি এই পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে নতুন করে আধুনিক মানের ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়াশরুম, নিরাপত্তা প্রাচীর তৈরি, খেলনা সামগ্রী স্থাপন এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, তাহলে একটি সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ করতে পারবে। এর ফলে এই প্রত্যন্ত অবহেলিত গ্রাম এলাকার মানুষের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানার প্রতি বাড়বে আগ্রহ। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. সাথিয়া আক্তার অপু জানান, এই বিদ্যালয়ের কাজগুলো প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। তাই সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।