Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অলিতলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল বরখাস্ত

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন : অবশেষে কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার অলিতলা ফাজিল মাদরাসার আলোচিত প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ মোহসিন রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম এবং ১৫ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাদরাসা গভর্নিং বডি অর্ডিন্যান্স ধারা মোতাবেক মোহসিন রেজাকে বরখাস্ত করে উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। কিন্তু বরখাস্ত হওয়া মোহসিন রেজা মাদরাসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে না দেয়ায় প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকরা বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষের কর্মকাÐে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইতোপূর্বে অধ্যক্ষ মোহসিন রেজা ও মাদরাসা গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি শাহআলম পাটোয়ারি বরুড়া আসনের এমপি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলনের স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় জেল খেটেছিলেন।
জানা গেছে, অলিতলা ফাজিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে গঠিত অর্থকমিটি মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই-বাছাই ও নিরীক্ষা করে একটি খাতে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৯ টাকা এবং অপর একটি খাতে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৯ টাকাসহ মোট ১৫ লাখ চার হাজার ৭৬৮ টাকার অনিয়মের বিষয়ে গভর্নিং বডির কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনের আলোকে মাদরাসার অর্থ আত্মসাত ও অন্যান্য অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩১ জানুয়ারি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মোহসিন রেজাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহআলমের কাছে অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তরের আদেশ জারি করে মাদরাসা গভর্নিং বডি। এ প্রসঙ্গে গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘মাদরাসার অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিঃসন্দেহে প্রমাণিত। মোহসিন রেজাকে ওই টাকা মাদরাসা ফান্ডে জমা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি গভর্নিং বডির কোনো অনুরোধেই পাত্তা দেননি। তাই আইন মোতাবেক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের আদেশের অনুলিপি বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মোহসিন রেজা স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলায় জেল খেটেছেন। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, ‘দায়িত্বের আদেশ পেলেও মোহসিন রেজা কাগজপত্র, আলমারির চাবি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তিনি গত কয়েকদিন ধরে রাতের বেলায় মাদরাসায় আসেন। তিনি চার্জ বুঝিয়ে না দেয়ায় প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে সমস্যা হচ্ছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ