Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিত্যক্ত ভবনে সরকারি অফিস!

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে জি এম মুজিবুর রহমান : আশাশুনি উপজেলা পরিষদের একটি ভবন বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও ভেঙে না ফেলানোয় চরম বিপদাপন্ন হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে প্রাণহানির শঙ্কায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এরশাদ সরকারের আমলে থানাকে উপজেলা হিসাবে ঘোষণার পর উপজেলা পরিষদের মাঝ বরাবর বৃহৎ আকারের একটি একতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছিল। আদালত হিসেবে ব্যবহৃত বিল্ডিংয়ে ১০টি কক্ষ এবং হাজতখানার জন্য আরো তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি সুরক্ষিত অংশ আছে। আশাশুনি থেকে উপজেলা উঠিয়ে নেয়ার পর ওই বিল্ডিংটিতে সাবরেজিস্ট্র্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস, খাদ্য পরিদর্শকের অফিস, থানার অস্থায়ী কার্যালয়সহ বিভিন্ন অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। বিল্ডিংটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও অনেক ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি অফিস কার্যক্রম চালিয়েছে। তখন কমপক্ষে ৮-১০ বার বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা ও বড়বড় অংশ ভেঙে অফিস কর্মচারীসহ কাজে আসা সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। বর্তমানে সেখানে খাদ্য পরিদর্শকের অফিস ও মহিলা দফতরের ট্রেনিং সেন্টারের অংশ বিশেষের কাজ করছে। ভবনটি পরিত্যক্ত থাকায় সেখানে ঝড়বৃষ্টি ও সময়-অসময়ে মানুষের গমনাগমন ঘটে। মাঝেমধ্যে ভবনের ছাদ ও প্লাস্টারের অংশ খসে পড়ায় চরম বিপদাপন্ন হয়ে উঠেছে। পরিষদের মাঝে পরিত্যক্ত ভবন দাঁড়িয়ে থাকায় পরিষদের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ভবনটি অপসারণ না করা হলে সেখানে নতুন প্ল্যানে নতুনভাবে কিছু করাও সম্ভব হচ্ছে না। ভবনটি অপসারণ করা গেলে অডিটোরিয়ামসহ অন্য প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণের জায়গা বেরিয়ে আসবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ