রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : বগুড়ার গাবতলী দূর্গাহাটা শিলদহবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামে জমিজমা বিরোধ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে হত্যার উদেশ্যে মারপিটে এক অসহায় কৃষক ইমদাদুল হককে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
মামলা সূত্র জানায়, দূর্গাহাটা ইউনিয়নের শিলদহবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলী সরকারের ছেলে ইমদাদুল হক দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বসতবাড়ি জমির উপর টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু ইমদাদুল সেই টিনশেড ঘর মেরামত ও দেয়াল (সীমানা প্রাচীর) নির্মাণ কাজ করছিলেন। এরপর আট শতক জমি ভোগদখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের এনামুল, ইলিয়াছ, শেফালি, মাইদুল ও শাহীন পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, লোহার রড়, সাবল, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বসতবাড়িতে গিয়ে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় এবং জোরপূর্বক এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ইমদাদুল চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রতিপক্ষ ইমদাদুলের নির্মিত ইটের তৈরি প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এতে করে তার ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। এ সময় ইমদাদুল বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যার উদেশ্যে আঘাত ও এলোপাতারি মারপিটে গুরুত্বর জখম করে। এরপর প্রতিপক্ষ ইমদাদুলের পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আহত অবস্থায় ইমদাদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ইমদাদুল হক বাদী হয়ে এনামুলকে প্রধান আসামিসহ ইলিয়াছ, শেফালি, মাইদুল ও শাহীনকে আসামি করে গাবতলী থানায় একটি মামলা করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াছকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।