পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বিশেষ করে আলেয়া মাদরাসার শিক্ষকরা ডিসিপ্লিন ইসলামী সমাজ এবং সৈনিক তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, ইসলামী সমাজের সাথে সারা দুনিয়ার নেতৃত্ব আসার একটা পূর্ব লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। একটা ইসলামী সমাজ আসার আগে আর এই সমাজের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য এখন যোগ্য মানুষের দরকার। এই সময়ে মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দ পিছিয়ে থাকতে পারে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালিস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে আয়োজিত আলোচনা সভা, ইছালে ছওয়াব ও বিশেষ দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, মসজিদে গাউছুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহঃ) এর ১২তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ঢাকা মহানগরী শাখা।
অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ মাওলানা ড. নজরুল ইসলাম আল মারুফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়াত সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহাবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
মরহুম হযরত আব্দুল মান্নান (রহঃ) এর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমার আব্বা সব সময় চাইতেন আলেমরা রাষ্ট্র সমাজের নেতৃত্ব দেবে। কারণ তারা রাষ্ট্র ও সমাজের সবচেয়ে ভাল মানুষ, সবচেয়ে সম্মানিত মানুষ। সেই সমাজ ও রাষ্ট্র এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমি ২৫ বছর আগে বলেছিলাম এদেশে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০ বছর চলে গেছে। বেশি দিন বাকি নাই। ইসলামী সমাজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। তিনি বলেন, নতুন কিছু গড়ে ওঠার আগে ভাঙচুর হয়। আমরা যদি ধ্বংস ও যুদ্ধ দেখি এটা কিন্তু নতুন একটি ভবন করার আগে ভাঙাচুরার কাজ হয় এটা তারই অংশ। জমিয়াতের নেতৃত্বে দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ আছে মন্তব্য করে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, জমিয়াতের ডাকে গত ২৭ জানুয়ারি ২ লাখ আলেম-ওলামা. পীর-মাশায়েখ, মাদরাসা শিক্ষক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুটে এসেছেন। আমরা যদি এভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে আগামীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা হবে না। ঢাকা শহরে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ডাকলেই ২৫-৩০ লাখ ছাত্র-শিক্ষক ছুটে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।