বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা ঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সেটেলমেন্ট অফিসের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার খপ্পরে পড়ে জনগনকে চরম ভোগান্তি ভোগ করতে হচ্ছে। সেটেলমেন্ট অফিসের তালা খোলা থাকলেও বেশ কিছু দিন থেকে ওই অফিসের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় ভুক্তভোগি লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় খতিয়ান পাচ্ছে না। এ বিষয়ে কেউ কোন প্রকার সদুত্তর পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।
জানা গেছে, সাধারণ নিয়মে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস কোন মৌজার গেজেট প্রস্তাব দিলে তা বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাভ করে জেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ফেরত আসে। তখন জেলার দায়িত্বশীল প্রধান কর্মকর্তা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার ওই মৌজার রেকর্ড পত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেয়। নির্দিষ্ট সময়ে ওই মৌজার রেকর্ড পত্র জোনাল অফিসে জমার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু কুমিল্লা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মৌজা সমূহের বিষয়ে কুমিল্লার যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ প্রদান করায় চৌদ্দগ্রাম সেটেলমেন্ট অফিসের তালা খোলা থাকলেও মূলত এই অফিসটিকে বন্ধ বলা যায়। কারণ এই অফিসে কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকে না। তাদেরকে কুমিল্লার অফিসিয়াল কাজ করতে হয়। অন্যদিকে চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন মৌজার ভূমি মালিকরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ওই অফিসে গিয়ে কাউকে না পেয়ে এবং তাদের খতিয়ানের কিংবা খতিয়ান সম্পর্কিত বিষয়ে কোন সদুত্তর না পেয়ে ফিরে আসে। কেউ কেউ সমস্যায় পড়ে দালাল ও টাউটদের খপ্পরে পড়ে সবর্স্ব হারাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, এখনও প্রায় ৬০-৭০টি মৌজার গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব করা হয়নি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে চৌদ্দগ্রামের সংশ্লিষ্ট ভূমি মালিকদের অবস্থা চরম আকার ধারণ করবে।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন গতকাল রোববার অভিযোগ করেন, ‘আমি একটি আরএস খতিয়ানের জন্য কুমিল্লায় গেলে তারা চৌদ্দগ্রাম সেবা কেন্দ্রে আবেদন করতে বলে। আর চৌদ্দগ্রাম আসলে বলে কুমিল্লায় আবেদন করতে। কবে মূলত সেবা পাব এটাই বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার সামছুল আলম বলেন, প্রায় ৮০ টি মৌজার গেজেট পাশ হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কুমিল্লায় বসে সেগুলোর কাজ করতে হচ্ছে। অনিয়মের বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি।
ভুক্তভোগী জনগন শিগগিরই চৌদ্দগ্রাম সেটেলমেন্ট অফিসের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।