Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাবির দশম সমাবর্তনে আসছেন না চ্যান্সেলর অনুষ্ঠান বর্জনের হুমকি গ্রাজুয়েটদের

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাবি সংবাদদাতা : মার্চে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) দশম সমাবর্তন এমন সংবাদে গ্রাজুয়েটদের মনে আনন্দের বন্যা দেখা দিলেও তা এখন দেখা দিয়েছে ক্ষোভে। আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দশম সমাবর্তনে আসছেন না বিশ^বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ, তবে তার প্রতিনিধি হিসাবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমন সংবাদ বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হলে গ্রাজুয়েট, সাবেক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদে মধ্যে ক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। অনেকে গ্রাজুয়েট অনুষ্ঠানস্থল বর্জনের ঘোষণা দিয়ে এটা রাজশাহী বিশ^দ্যিালয় আইন ৭৩ এর এ্যাক্টের চরম লঙ্ঘন বলে প্রতিবাদ জানানোর ঘোষণা দেন। তারা অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের মত জায়গায় সমাবর্তনের সনদ নিতে চান না তারা। তাছাড়া, তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের মেয়াদকালে গ্রাজুয়েটদের রেজিস্ট্রেশন নিধারিত সময়ে শেষ হওয়ার পরও সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা না করলে তখনও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১০(১) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে ভিসি এরুপ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। তবে, ১০(৪) উপধারায় প্রেসিডেন্ট তাঁর ক্ষমতা অন্য কাউকে দিতে পারেন বলে উল্লেখ থাকলেও এখানে ক্ষমতা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রেসিডেন্ট র নিয়ন্ত্রক বা পরিচালন ক্ষমতাগুলিকে নির্দেশ করে বলে প্রতীয়মান হয়। উপধারা ১০(১) পরবর্তী উপধারা ১০(৪) ধারা ‹এতদ্বসত্তে¡ও› শব্দ দ্বারা লঙ্ঘনীয় বা বারিত করার সুযোগ এখানে রাখা হয় নি। এটা একটি আইনী পরিভাষা বলে জানা যায়। তাই কোনভাবেই আচার্যের অনুপস্থিতিতে উপাচার্যের বাইরে অন্য কেউ সমাবর্তনে সভাপতির পদ অলংকৃত করতে পারেন না বলে জানেিয়ছেন বিশ^বিদ্যালযের কয়েকজন সিনিয়র অধ্যাপক।
বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক ইনকিলাবকে জানান, যেখানে বিশ^বিদ্যালয় এ্যাক্ট ৭৩ এ বলা আছে, আচার্যের অনুপস্থিতিতে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেবেন ভিসি সেখানে কোন ভাবেই শিক্ষামন্ত্রী সভাপতিত্ব করতে পারেন না। তারা এটাকে আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রাজুয়েট ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যে শিক্ষামন্ত্রীর সময় একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে চলেছে, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তার কাছ থেকে সমার্বতনের সার্টিফিকেট কোন ভাবেই নিতে চান নান তারা। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীন সময়ে অনুষ্ঠান বর্জন করে এর প্রতিবাদ জানাবেন তারা।
জানতে চাইলে প্রফেসর শাহ আজম শান্তনু বলেন, ৭৩ এর এ্যাক্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্বতনে আর্চায উপস্থিত থাকবেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের এক্সপক্টেশন ও অনেকে। সে ক্ষেত্রে এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট না আসলে শিক্ষার্থীদের মন খারাপ হওয়ারই কথা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ