পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে যেকোনো চক্রান্ত সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা রাজপথে নেমে প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ। গুটিকয়েক নাস্তিক ও হিন্দু নেতার প্ররোচনায় রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হলে সরকার শতকরা ৯৫ ভাগ ইসলামী জনতার রোষানলে ভেসে যাবে এবং সে আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নেতৃবৃন্দের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত্রের প্রতিবাদে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ইসলামী আন্দোলনের দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশিষ্ট ইসলামী নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে হিন্দু এবং নাস্তিকরা নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, গুটিকয়েক নাস্তিক ও হিন্দু নেতার প্ররোচনায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ ও সরকার জনগণের রোষানলে পড়ে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে গেলে এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমান রাষ্ট্রধর্মের পক্ষে রাস্তায় নেমে আসবে।
তৌহিদী জনতা মোহাম্মদপুরের উদ্যোগে গতকাল সকাল এগারটায় টাউন হলে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দেশব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন পালিত
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের দাবিতে গতকাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত দেশব্যাপী জেলা জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্ত করলে দেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে। মুসলমানরা জীবন ও রক্ত দিয়ে এ ধরনের চক্রান্ত রুখে দিবে। একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে ৯২ ভাগ মুসলমানের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে কতিপয় নাস্তিক-মুরতাদ কীভাবে রিট করার সাহস পায়। এই রিটটিই বা আদালত কীভাবে গ্রহণ করে। অবিলম্বে এই রিট বাতিল করতে হবে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখতে হবে। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা ইউনুস আহমেদ একথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন মাও. এটিএম হেয়ায়েত উদ্দিন, বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলা সদরেই শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিশি বাধা এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের তোপের মুখে মানববন্ধন হয়েছে। যেসব জেলার উপজেলাগুলোতে মানববন্ধন হয়েছে সেগুলো হলো-ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলা পূর্ব, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বি’বাড়িয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, খুলনা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বরিশাল, ভোলা উত্তর ও দক্ষিণে পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন সফল করায় দেশবাসীকে পীর সাহেব চরমোনাইর আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মুসলমান হলে কবরে ধর্মনিরপেক্ষ বলা যাবে না
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আমাদের সংবিধানে বলবৎ আছে আশা করি তা বহাল থাকবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ক্ষমতাসীনরা যার যার ইচ্ছা মতো সংবিধান সংশোধন করেছেন। অনেক ইসলামী বিষয়কে সমুন্নত রেখে আবার অনেকে বিষয়কে চিরতরে বিদায় জানিয়ে। ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে সবাই ইসলামের জন্য মায়া কান্না করে সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দেন। মৃত্যুর পর কবরের অন্যতম প্রশ্ন হবে কোন ধর্মের অনুসারি ছিল? কবরে কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষবাদ বললে তার আজাব কত ভয়াবহ হবে তা সবার জানা আছে। তবুও কেন আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। কবরে যাওয়ার জন্য আখেরাতে মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রশাসনের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। এ ব্যাপারে বিএনপি, এরশাদের ভূমিকা জাতি জানতে চায়। গতকাল বহদ্দারহাটস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা ও ইসলাম শীর্ষক আলোচনা সভায় হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমির মাওলানা লোকমান হাকিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে রিটের শুনানি আজ
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানির জন্য আবেদনটি কার্যতালিকায় এসেছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে আজ সোমবার উঠবে বলে গতকাল কার্যতালিকায় দেখা যায়।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিলো বলে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন। তবে কার্যতালিকা অনুসারে ২৭ মার্চ নয়, ২৮ মার্চ আবেদনটির শুনানি হবে।
ওই দিন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক সাংবাদিকদের বলেন, আদালত ২৭ ও ২৮ মার্চ শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন। এর আগে হাইকোর্ট ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেছেন। আগামী তারিখে নতুন করে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
২৮ বছর আগে করা ১৫ বিশিষ্টজনের করা একটি রিট আবেদনের ২৩ বছর পর রুলটি জারি করা হয়। আর রুল জারির প্রায় ৫ বছর পরে এসে এ রুল শুনানির দিন ধার্য হয়।
রিট মামলটি করা হয়েছিলো ১৯৮৮ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান করার পর। ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি’র পক্ষে রিটকারী ১৫ বিশিষ্টজনের মধ্যে অনেকে ইতোমধ্যে মারা গেছেন। ১৯৮৮ সালের ৫ জুন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে জাতীয় সংসদে অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন হয়। একই বছরের ০৯ জুন এতে অনুমোদন দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদ।
রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র জঙ্গিবাদকে উস্কে দেয়ার শামিল
মাইজভা-ার দরবারের সাজ্জাদানশীন ও আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভা-ারীয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ্ সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেছেন, ইসলামে সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থানের কথা বলা হয়েছে। প্রিয়নবী (সা.) মদিনার সনদ ও বিদায় হজের ভাষণে অন্য ধর্মের অনুসারীদের অধিকারের কথা নিশ্চিতভাবে বলেছেন। তাই, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও মুসলিম প্রধান দেশ হলেই যে অন্য ধর্মাবলম্বীরা নিরাপত্তাহীন ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে তা কিন্তু ইসলামের কোথাও কেউ দেখাতে পারবে না। ইসলাম সকল মানুষের অধিকার, ন্যায়-ইনসাফ সঠিকভাবে নিশ্চিত করেছে।
ইসলামই স্বাধীনতার একমাত্র রক্ষাকবচ
ইসলামিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন, বাঙালি জাতির একমাত্র অর্জন মহান স্বাধীনতা। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জাতীয় জীবনে অদ্যাবধি স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও চেতনাসমৃদ্ধ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইসলামের সাথে স্বাধীনতার চেতনা কখনো সাংঘর্ষিক নয়। কেননা স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি জাতির বিজয়ের জন্য বাঙালি মুসলিম নরনারীরা রোজা ও নফল নামাজ আদায় করেছিল। অথচ সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ ইসলামই এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ।
ইসলামবিদ্বেষীরা হানাদারের ভাষায় কথা বলছে
সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধনে ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইসলামবিদ্বেষীরা হানাদার পাকিস্তানিদের ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের উপর পাকিস্তানিরা যেভাবে একমাত্র উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল আজকেও গুটিকয়েক ইসলামবিদ্বেষী লোক এবং জনবিচ্ছিন্ন টকশোর বক্তা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের উপর ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে গতকাল (রোববার) চট্টগ্রাম আদালত ভবন থেকে জামাল খান প্রেসক্লাব চত্বর পর্যন্ত দীর্ঘ মানববন্ধনে নগর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা জান্নাতুল ইসলাম একথা বলেন।
রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে বিএনপি ও এরশাদের ভূমিকা জাতি জানতে চায়
চট্টগ্রাম ব্যুরো : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে বলবৎ আছে, থাকবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকার ইসলামের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবে না। সংবিধানে ইসলামের শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিতে নাস্তিকেরা আবারও আদালতের উপর সওয়ার হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীসহ বিরোধী দলীয় নেতা, এমপিরা ইসলামকে রক্ষা করতে চুপ না থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপি ও এরশাদের এ ব্যাপারে ভূমিকা কী জাতি তা জানতে চায়।
গতকাল (রোববার) বহদ্দারহাটে অস্থায়ী কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা ও ইসলাম শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী একথা বলেন।
খুলনা : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্ত করা হলে দেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে। মীমাংসিত বিষয় নিয়ে নতুন ষড়যন্ত করে মুসলমানদের সেন্টিমেন্টে আঘাত করে কিছু ভুইফোঁড় নাস্তিক, কাফির বেঈমান এই মুসলমানের দেশে কীভাবে রিট করার সাহস পায়? এবং আদালত তা কীভাবে গ্রহণ করে আমাদের বুঝে আসে না। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
খুলনা মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার দাবিতে ও রিট প্রত্যাহারের দাবিতে নগর সেক্রেটারি শেখ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও নগর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ইমরান হুসাইনের পরিচালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের জন্য হাইকোর্টে করা আবেদন বাতিল ও আবেদনকারীর শাস্তির দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী শাখা ও মহানগর জাতীয় পাটি। সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গতকাল সকালে পৃথক পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম আছে এবং থাকবে। এ নিয়ে ভিন্ন কিছু দেশের জনগণ মেনে নিবে না। প্রয়োজনে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তৌহিদী জনতা আশা করে সরকার এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে।
সিলেট : ইসলামী আন্দোলন সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন-শহীদ হওয়ার কথা জীবনে অনেকবার শুনেছেন কিন্তু দেখেননি। তবে এবার দেখতে পাবেন মুসলমান কীভাবে শহীদ হয়। বর্তমান বিশ্বে ৫৮টি দেশে রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে। তার মধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রধর্মে ইসলাম রয়েছে ২৭টি দেশে, খ্রিষ্টান ধর্ম রয়েছে ২৬টি দেশে ৫টি দেশে রয়েছে অন্যান্য ধর্ম। সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা হয়েছে।
গতকাল বাদ জোহর সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন সিলেট মহানগর সভাপতি মুফতি মো. ফখর উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা সহ সভাপতি আব্দুল করীম, সেক্রেটারি নাজির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি লোকমান খান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি আলহাজ ফজলুল হক, ইশা ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর সভাপতি হাফিজ মাহমুদুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মাওলানা মহিবুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুফতি আল-আমিন গাজী আইনুল হক হাফেজ হাবিবুল ও হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
সিরাজগঞ্জ স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল এবং থাকবে। এটা বাদ দেওয়া হলে দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। মাগুরা : মাগুরায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আওতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ১১টার সময় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি এড. এবিএম শেহাব উদ্দিন। ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, মাও. মশিউর রহমান, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ মনিরুজ্জামান, নাজিরুল ইসলাম, শিহাব উদ্দিন, মিজানুর রহমান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আরাফাত হুসাইন প্রমুখ।
নেত্রকোনা : ইসলামী আন্দোলন নেত্রকোনা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের (বড় মসজিদ) সামনে কালো পতাকা হাতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম শাহ্ নেওয়াজ ফকির, জেলা শ্রমিক আন্দোলনে সভাপতি হাবিবুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি লুৎফুর রহমান, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, মাও. যোবায়ের আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আকন্দ প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। সকাল ১১টার দিকে শহরের প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি নিয়াজুল করীম, সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি এহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, সামছ আল ইসলাম ভূঁইয়া, পৌর শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
যশোর : রোববার সকালে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিরাট মানববন্ধন করে। বক্তারা বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই থাকবে। ইসলাম স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ। এটি বাতিলের ষড়যন্ত্র আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতা কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না।
লন্ডনে হেফাজতে ইসলামের বিশাল প্রতিবাদ সভা : গত শুক্রবার লন্ডনে হেফাজতে ইসলাম ইউকে আয়োজিত বিশাল প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দেওয়ার ষড়ন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পূর্ব লন্ডনের আল-হুদা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলাম ইউকের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ-এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা সাজ্জাদুর রহমান আনসারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম ইউরোপের সভাপতি মুফতি শাহ্ সদরুদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশি মুসলিম-এর অন্যতম আহ্বায়ক মাওলানা জমসেদ আলী, মাজাহিরুল উলুম লন্ডন-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা ইমদাদুর রহমান মাদানী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম.এ মালেক, জাস্টিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নজির আহমদ, মানবাধিকার সংগঠক মনোয়ার হোসেন বদরুদ্দোজা, আইনজীবী লিয়াকত সরকার, লেখক ও প্রাবন্ধিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান, হেফাজত নেতা ও যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি ড. আবদুস শুকুর, মাওলানা হাসান নূরী চৌধুরী, মাওলানা শওকত আলী, যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক এম সদরুজ্জামান খান, লন্ডন মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, লন্ডন মহানগর জমিয়তুল উলামার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হিফজুল করীম মাসুক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।