Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও আসন বাড়েনি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে নজির হোসেন নজু | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন। সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে চিলাহাটি-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে। ট্রেনটির যাত্রার শুরু থেকেই যাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দিন দিন বাড়ছে যাত্রী সংখ্যাও। কিন্তু সৈয়দপুর ষ্টেশনের জন্য এর আসন সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। বরঞ্চ আগের তুলনায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সৈয়দপুরের জন্য এর আসন সংখ্যা।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ে এ অঞ্চলের যাত্রী সাধারণের সুবিধার কথা ভেবে সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হয়। বর্তমানে নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা রুটে সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করছে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এ ট্রেনে সৈয়দপুর স্টেশনের জন্য মোট আসন বরাদ্দ রয়েছে ১৬১টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ১২০, এসি চেয়ার ২৫টি, এসি বাথ ১০টি এবং ননএসি বাথ ৬টি। অথচ সৈয়দপুর রয়েছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। সৈয়দপুরে রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। এছাড়াও উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে খ্যাত সৈয়দপুর একটি ব্যবসা প্রধান উপজেলা শহর। এখানে রয়েছে বহু সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সেনানিবাস, বিমানবন্দর,বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরা ইপিজেডসহ অসংখ্যক ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান। এখানে রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও, এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (বাংক,বীমা)। ফলে কর্মসূত্রে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস করেন এ শহরে। পক্ষান্তরে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সৈয়দপুর ছাড়াও যাতায়াত করে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এবং রংপুরের তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার শত শত যাত্রী। এতে করে প্রতিদিন শত যাত্রী টিকেটের জন্য আসেন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে। কিন্তু সৈয়দপুরের জন্য বরাদ্দকৃত আসন কম হওয়ায় টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। চিলাহাটি- সৈয়দপুর –ঢাকা রুটে একটি মাত্র ট্রেন হওয়ায় যাত্রীরা চাহিদা মত টিকেট পাচ্ছেন না। যাত্রী সাধারণের তুলনায় বরাদ্দকৃত টিকেটের অপ্রতুলতায় অনেক সময় যাত্রীদের সাথে কাউন্টারের লোকজনের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, স্বচ্ছল যাত্রীরা সড়কপথে ঢাকা যেতে পারলেও নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে তা সম্ভব হয় না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষকে ট্রেনের টিকিটের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার মো. আলমগীর হোসেন জানান, আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট চাহিদার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফায় অবহিত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ