বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাটহাজারী (চট্রগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিমে পাহাড়ি এলাকার দেওয়াননগর গ্রামের জমিরিয়া ইসলামীয়া মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানায় একদল যুবক হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে জানা যায়। গতকাল শনিবার সকাল আটটায় প্রকাশ্য দিবালোকে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক ধারালো কিরিচ ও দেশীয় অস্ত্র সহকারে এই হামলা চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার উননেছা শিউলী এবং হাটহাজারী মডেল থানার এএসআই আরিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মাদরাসার সেক্রেটারী মমতাজ মিয়া জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসার হেফজবিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের নিয়মিত পাঠদান চলছিল। সকাল আটটার দিকে ২০-২৫ জন্য যুবক লোহার রড, ধারালো কিরিচ ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা প্রথমে এসে মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা মাদরাসার নতুন নির্মিত হেফজবিভাগের একটি টিন নির্মিত ঘর সর্ম্পূন কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে।এসময় তারা হেফজবিভাগের ঐ কক্ষে রক্ষিত কিতাব ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে চলে যায়।
মাদরাসার পরিচালক জমির উদ্দীনসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রদের জিম্মি করে রাখে এবং সকলের মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তারা মাদরাসার নতুন নির্মিত হেফজবিভাগের একটি টিন নির্মিত ঘর সম্পূর্ণ কুপিয়ে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। এ সময় তারা হেফজবিভাগের ঐ কক্ষে রক্ষিত কিতাব ও অন্যান্য আসবাব পত্র ভাঙচুর ও তছনছ করে চলে যায়। তিনি আরোও বলেন, হামলাকারীদের বেশ কয়েকজনকে আমি চিনতে পেরেছি। তারা সম্প্রতি সরকারী জমির উপর নির্মিত এই মাদরাসার জমি নিজেদের জমি দাবি করে আসছিল। এটা নিয়ে থানায় ও ইউএনওর কার্যালয়ে একাধিকবার বৈঠক করা হলেও তারা সেখানে তাদের দাবি প্রমাণ করতে না পেরে এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করলে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের জানান, মাদরাসাটি সরকারী খাস জমির উপর নির্মিত। আমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছি তারা আবেদন করলে মাদ্রাসার জমিটি মাদরাসার নামে বন্দোবস্ত প্রদাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।