পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুতুল খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, যখন ইচ্ছা হচ্ছে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা থেকে, রাস্তা থেকে, হাটবাজার থেকে, দলীয় কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তুলে নিয়ে যাচ্ছে তাই নয়। প্রথমে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করার পর দরকাষাকষি শুরু হয়। বলা হয়, বেশি টাকা দিলে হালকা মামলা দেওয়া হবে, আর কম টাকা দিলে কঠিন মামলা দেওয়া হবে। অর্থ দিতে অক্ষম হলে শুরু হয় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র ও শাসনের নমুনা। গতকাল (শুক্রবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক যাতে সফল না হয় সেজন্য সরকার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গত চার দিনে বিএনপির অন্তত ২৭৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু ও নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লবসহ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা নয়া পল্টনের কার্যালয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন, বাসা থেকেও নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এদের মিটিং তো আগামীকাল (শনিবার)। এদেরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে? যাতে নির্বাহী কমিটির বৈঠকটি সাফল্যমÐিত না হয়, সার্থক না হয়, এটাই সরকারের উদ্দেশ্য।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা এমন এক অন্ধকারাচ্ছন্ন দু:সময়ের মধ্যে বাস করছি যে, যখন স্বাভাবিক রাজনৈতিক সাংগঠনিক কর্মকাÐ করতে যেয়েও বিএনপি নেতৃবৃন্দরা সরকারি নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছেন। বিপদ, শঙ্কা, আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে তাদেরকে যাপন করতে হচ্ছে দিনরাত্রি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এরশাদের নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সরকারের পার্টনার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাল নথির ওপর ভিত্তি করে ভুয়া ও মিথ্যা মামলায় হয়রানীর মাধ্যমে জুলুম করা হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চলছে অত্যুগ্র মাত্রায় জেল, জুলুম, নির্যাতন, গ্রেফতার ও গণগ্রেফতার। এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে প্রমাণ হয়ে গেছে সরকার পরিকল্পিতভাবে ভিন্ন কৌশলে আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। কারণ ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতার মগডালে বসে থাকার মজাটা পাচ্ছে, তাই তারা নাছোড়বান্দার মতো ক্ষমতা ধরে রাখতে আগ্রহী। সেজন্যই একতরফা ভোটের ফলাফল ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় বলেই নির্বাচনী ঘর অগোছালো রেখেই আাবরো ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। জাতির সামনে সরকারের উদ্দেশ্য পরিস্কার। বিএনপিসহ বিরোধী দল নিধনে যে দমন নিপীড়ণ চলছে এ নিয়ে দেশ-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠেছে। অন্তহীণ ক্ষমতালিপ্সার কারনেই জনগণের বদলে বন্দুকের ওপরেই আস্থা বেশী সরকারের। সেজন্য জনগণের ব্যাপক অংশের প্রতিনিধি বিএনপি-কে নিপীড়ণ-নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত করে হয়রানীর জালে আটকে রেখে নিজেদের পছন্দের নির্বাচন করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে গেফতার ঢাকা মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম রাসেল, মো. খলিল, রানী বাবু, আমির সর্দার, রোমান, লিংকন, মো. মুক্তার হোসেন, রহমত উল্লাহ দুলাল, তোজাম্মেল হক সোহাগ, রাহাত খান, জাকির হোসেন সজীব, আলমগীর, সৈয়দা দিলারা কলি, মনোয়ারা বেগম, সাহিদা, মোসামাৎ শামীমা, আবদুল্লাহ আল মামুন, সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতা মোমিনুল হক, শরীফ হেসেন, মো. আলমগীরে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।