Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেবার আড়ালে রোহিঙ্গাদের খ্রিস্টান বানানো এনজিওদের প্রতিহত করুন -পীর ছাহেব লালপোল

| প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের ঘরবাড়ি, সহায় সম্পত্তি হারিয়ে এখন উদ্বাস্তু হিসেবে জীবন যাপন করছে। আর এদেশে অবস্থানকারী এসব রোহিঙ্গাদের নামমাত্র সাহায্যের বিনিময়ে খ্রিস্টান মিশনারীর এনজিও সংশ্লিস্টরা খ্রিস্টান বানাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসলিমদের ঈমান নষ্টকারী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের লালপোল জামেয়া ইসলামিয়া সোলতানিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা মুফতি সাঈদ আহম্মদ পীর ছাহেব লালপোল।
এক বিবৃতিতে বলেন, অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার বড় মানবিক কাজ করেছে। সাথে সাথে সারা বিশ্বের মানবতা দরদী মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বাংলদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। আর রোহিঙ্গারা মুসলমান। মুসলমান হওয়ার কারণে আজ তারা বাস্তুভিটা হারা। অনেক রোহিঙ্গা মা সন্তান হারা, স্ত্রীরা স্বামী হারা, সন্তানরা পিতা হারা। এই অসহায় মানুষরা আজ সাহায্যের ভিখারী।
যে বা যারা তাদেরকে কোনো প্রকার সাহায্য করে তাকে বা তাদেরকে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন মনে করে। কিন্তু এনজিওরা তাদের প্রতি সাহায্যের হস্ত প্রসারিত করে তাদের ঈমান কেড়ে নিচ্ছে।
এদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলমান। প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে সরকারের সিংহভাগ নীতিনির্ধারক মুসলমান। অথচ এদেশে এসে আজ তারা অন্ন বস্ত্রের অভাবে ঈমান বিক্রয় করে দিচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের উচিত এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া এবং জাতির পথপ্রদর্শক উলামায়ে কেরামকে সাথে নিয়ে তাদের ঈমান হেফাজতের ব্যবস্থা করা। সরকার তাদের ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে মক্তব ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করা এবং ব্যাপকভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করার সুযোগ করে দেয়া।
না হয় আল্লাহর কাঠগড়ার আসামী হতে হবে। আমরা শুনতে পেরেছি, যারা রোহিঙ্গাদের জন্য মাদরাসা কায়েম করতে চায় এবং ব্যাপকভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করতে চায় তাদেরকে সরকারী কিছু কর্মকর্তা বাধা দিচ্ছে। তারা এনজিওদের খপ্পরে পড়ে এই কাজ করছে। অথচ এটা জঘন্য অপরাধ। সরকারকে এই ব্যাপারে তীক্ষèদৃষ্টি রাখতে হবে। সংসদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ