Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপহরণ মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ রশিদিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মোহনা (১৫) কে অপহরকারীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই নিয়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
ছাত্রীর পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, এস.হক মেমোরিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল খোকন ও ভাওরকোট গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল হামিদের সাথে পূর্ব শত্রæতার জের রয়েছে। তারই সূত্র ধরে হামিদকে ফাঁসাতে জয়াগ রশিদিয়া সিনিয়র মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মোহনাকে জিম্মি করে বাদী বানিয়ে খোকন ও একই স্কুলের সহকারী শি্িক্ষকা জহুরা বেগম সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যাতে আসিক, আবদুল হামিদ, সৌরভ, বিকাশ, আল-আমিন, জিহাদ ও শাকিলকে অভিযুক্ত করা হয়। যার শালিশকার্য গত বুধবার দিন ধার্য্য করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা। উক্ত মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্তদের দোষী করার জন্য সোমবার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথে একটি মাইক্রোতে করে ছাত্রী মোহনাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মামা ছালাহ উদ্দিন আহমেদ সোনাইমুড়ী থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় খোকনের ব্যবসায়িক সহযোগী নাছির উদ্দিন অপহরণকৃত ছাত্রী মোহনাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় চাটখিলের আল ডুবাই শপিং কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে। স্থানীয় জনতা উদ্ধারকৃত ছাত্রী মোহনাকে জয়াগ ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আকবর পলাশের কাছে হস্তান্তর করে। জয়াগ ইউপি চেয়রম্যান শওকত আকবর পলাশ বলেন, খোকন অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এ বিষয়ে অপহরণকৃত ছাত্রী মোহনা জানান, খোকন, তার ছেলে শোসাইন, জহুরা বেগম ও নাছির উদ্দিন আমাকে অপহরণ করেন। এ বিষয়ে অপহৃত মোহনার বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় ৩জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা আসামীদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রবিউল ফয়সাল বলেন, আমার বরাবর অভিযোগটি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ