Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পঁচা পানিতে ভাসছে মাছ রূপগঞ্জে বিষাক্ত মাছ ধরার হিড়িক

| প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে শীতলক্ষ্যার দূষিত ও পঁচা পানিতে ভেসে ওঠছে মরা মাছ। অপরদিকে বিষাক্ততার প্রভাবে নদীর মাছগুলো আক্রান্ত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শীতলক্ষ্যায় এ মাছ ধরতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঘরের মশারী, খেয়াজাল ও পলো নিয়ে নদীতে নেমে এসব বিষাক্ত মাছ ধরতে পরিবারের শিশু,কিশোর বৃদ্ধসহ নারীরাও নেমেছেন নদীতে। শুধূ তাই নয়, মাছ ব্যবসায়ী ও জেলে সম্প্রদায় এ মাছগুলো নিয়ে যাচ্ছে হাটবাজারে। আর সহজেই ধরতে পাওয়া পঁচাপানির প্রভাবে আক্রান্ত মাছগুলো ধরতে নদীর বুকে এক উৎসব আমেজ দেখা গেছে। তবে এ বিষাক্ত মাছ না খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, শিল্পনগরী খ্যাত রূপগঞ্জের অভ্যন্তরীনে প্রবাহিত শীতলক্ষ্যা পারে বেশকিছু শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগেই ইটিপি প্ল্যান না বসানোর কারণে প্রকাশ্যে বর্জ্য ফেলে দূষিত করছে এ নদীর পানি। কিছু প্রতিষ্ঠানের ইটিপি প্ল্যান থাকলেও রাতের আধারে বর্জ্যগুলো সরাসরি ফেলছে নদীতে। অন্যদিকে রাজধানী শহরের কোলঘেষা বালু নদী দিয়ে প্রবাহিত বিষাক্ত বর্জ্যগুলো ডেমরা মোহনা দিয়ে শীতলক্ষ্যায় প্রবেশ করায় ক্রমেই পঁচা পানিতে রূপ নিয়েছে। আর তাতে গোসলসহ ব্যবহার অনুপযোগী এ পঁচা পানি একদিকে জনজীবনে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরী হয়ে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চলের বাসিন্দা। একই কারনে নদীর চাপিলা,রুই, পাঙ্গাস, শশুক , চিংড়ি, বোয়াল ও শোলমাছসহ শতাধিক প্রজাতির মাছগুলো মরে ভেসে ওঠছে। আবার কারখানার বর্জ্যের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাছগুলো শ^াস প্রশ^াস নিতে না পেরে তীরে চলে আসছে। এ সময় স্থানীয়রা বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম ব্যবহার করে এসব মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হাসান মাহমুদ। এসব মাছ খেলে পেটের পীরাসহ নানাবিধ পানিবাহিত রোগবালাই বাড়তে থাকে। তাই এসব মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সমীর কুমার বসাক বলেন, শীতলক্ষ্যার পানিতে প্রচুর বর্জ্য রয়েছে। ফলে এখানে মাছের আবাসস্থল নিরাপদ নয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোতে ইটিপি পদ্ধতি ব্যবহারের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান ইটিপি ব্যবহার করছেন না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ