পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমের আওতায় দেশের ১৬ কোটি মানুষকে পেনশন দেওয়া যায় কিনা-তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে তিনি একটি রূপরেখা দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া পেনশনের জন্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবিদের ছোটাছুটির কষ্ট কমানোর পথ তৈরি করছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয়ের একটি পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন, যার আওতায় পেনশন চলে যাবে সরাসরি ব্যাংকে। আর টাকা জমা হলেই পেনশনভোগীকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্যমে।
দেশের সব মানুষের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে আগামী বাজেটে একটি রূপরেখা দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও অনুষ্ঠানে বলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে ৫৭ জন পেনশনভোগীর জন্য এ পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। গতকালই তাদের সকলের টাকা পৌঁছে যাওয়ার এসএমএস পেয়েছেন। পেনশনের জন্য এজি অফিস বা ব্যাংক-কোথাও যেতে হবে না তাদের। যখন ইচ্ছা টাকা তুলতে পারবেন।
দেশে পেনশনভোগীর সংখ্যা বর্তমানে ছয় লাখ ৫৭ হাজার ২১২ জন জানিয়ে অর্থসচিব বলেন, একটি পেনশন অফিস করার জন্য জনপ্রশাসনে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে সব কাজই অনলাইনে নিয়ে আসা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের পেনশন ব্যবস্থার সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। আজ যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যুগান্তকারী। এখন থেকে পেনশন ওঠাতে ছোটাছুটি করতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম অনুষ্ঠানে বলেন, পেনশনের পেপার ঠিক করতে দীর্ঘ সময় অফিসে বসে থাকতে হয়। পেনশনের পেপার নিয়ে দেরি করলে শাস্তির ব্যবস্থা করারও সুপারিশ করা হয়েছিল এক সময়। এখন সে বিড়ম্বনা দূর হবে।
দেশের সব মানুষকে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্য মাথায় রেখে আগামী বাজেটে ‘ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম’ এর রূপরেখা দেওয়ার ইচ্ছার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তিনি বলেন, এখন ফিলসফি হল, যত সিটিজেনস আছে, সবাইকে একটা সুযোগ করে দিতে হবে। ইট ইজ ইউনিভার্সাল পেনশন, যেটা আমরা মোর অর লেস কমিটেড, ওভার আ পিরিয়ড অব টাইম হয়ত সেটা হবে।
পরে অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরী বলেন, ইউনিভার্সাল পেনশন সিস্টেমের জন্য ইনস্টিটিউশন তৈরি করতে হবে। ফরমাল ও ইনফরমাল পেনশনের জন্য রেগুলেটরি অথরিটি লাগবে। স্যার এবার বাজেটে এটার রূপরেখা দেবেন। সেটার বেসিসে সরকার কাজ করবে। মহা হিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ, সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদসহ অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন আমলা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।