রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
প্রতিকূল আবহাওয়াতেও এবারে সরিষার হলুদ বর্ণে বর্ণিল হয়ে উঠেছে কুমিল্লার ১৫ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। একসময় কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলায় সরিষার আবাদ হতো। বর্তমানে সরিষার আবাদে কৃষকদের আগ্রহ অনেকগুণ বেড়েছে। বর্তমানে সরিষা আবাদে গোটা জেলাতেই বিস্তৃতি ঘটেছে। আমনের ফলন শেষে বৃষ্টির কারণে একই জমিতে সরিষার ফলনে কিছুটা বেগ পেতে হলেও চাষিরা হাল ছাড়েননি এটি উৎপাদনে। চাষিদের মতে, এবারে সরিষার যা ফলন হয়েছে তা আশানুরূপ বলা যায়। এবারের ফলনে সরিষা চাষিরা অনেকটাই খুশি।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাড়া মুরাদনগর, আদর্শ সদর, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা, তিতাস, ও চান্দিনায় সরিষার ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। এবারের মৌসুমে আবহাওয়া খুব একটা অনুক‚লে না থাকলেও এসব উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ আলোয় জ্বলে উঠেছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে কুমিল্লা জেলায় আট হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিপাত লেগে থাকায় সরিষার বীজ বপন করা যায়নি অনেক উপজেলায়। কারণ সরিষা বপনের সময় হচ্ছে অক্টোবরের শেষের দিকে বা নভেম্বরের শুরুতে। তারপরও কুমিল্লার ওইসব উপজেলার প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে এবারের মৌসুমে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। গতকাল কয়েকটি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে দুলছে সরিষা আর সরিষা। কৃষক পরম পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সরিষার মাঠে। মাঘের শেষের দিকে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা হবে। তারপর এসব সরিষা যাবে তেল তৈরির মিল-কারখানায়।
কুমিল্লার মুরাদনগর ও নাঙ্গলকোট উপজেলার কৃষকরা জানান, কম পুঁজিতে সরিষা চাষে দ্বিগুণ লাভ হয়। সরিষা আবাদ প্রণালীর ব্যাপারে কৃষকরা আরও ভাল ধারণা নিতে পারলে সরিষা ফলনে কুমিল্লায় বিপ্লব ঘটানো অসম্ভব কিছু না। সদরের পাঁচথুবী এলাকার কৃষক রিপন মিয়া, আবদুস সালাম, ফরিদ মিয়া, রমজান আলী, নাসির মিয়াসহ অনেকে বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরেই তারা সরিষা চাষ করে আসছেন। সরিষা আবাদ করে তারা স্বাবলম্বী। সদর উপজেলার আমড়াতলির পিরাতলি গ্রামের কৃষক কাজী সিরাজ জানান, আমনের পর মাঠ খালি থাকায় সরিষা আবাদে নেমে পড়েন। প্রতিবছরই এ সময়টিতে সরিষা আবাদ করে থাকেন। এবারে বৃষ্টিপাতের কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তারপরও খুশি।
কুমিল্লার বেশ ক’জন কৃষিবিদ জানান, আমন-বোরোর মাঝখানের সময়টি সরিষা আবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী সময়। সরিষা অত্যন্ত লাভজনক শস্য। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সরিষার ব্যাপক ফলন হচ্ছে। সরিষা আবাদের বিষয়ে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলতে পারলে কুমিল্লার কৃষি নির্ভর গ্রামগুলোর আমন, ইরি, বোরোর চাষিরা সেরা সরিষাবান্ধব চাষি হয়ে উঠবে। আর এ অঞ্চলের হলুদ সরিষা ঘিরে এমন একটি সোনালি সময় দেখা দেবে যখন কুমিল্লার সরিষা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।