Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর দৃষ্টিনন্দন মহড়া

‘ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস শত্রæ ঘাঁটি’

| প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : বানৌজা দুর্জয় থেকে শত্রæ পক্ষের উপর ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র সি-৭০৪। এ হামলার নেতৃত্ব দেন কমান্ডার আহসান উদ্দীন। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে শত্রæ পক্ষের ঘাঁটি। গতকাল (বুধবার) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক মহড়ায় এভাবে শত্রæ পক্ষকে মোকাবেলার শক্তি সামর্থ প্রদর্শন করেন নৌ সেনারা। মহড়ায় যুদ্ধ জাহাজগুলোকে গ্রিন ল্যান্ড এবং অরেঞ্জ ল্যান্ড নামে দু’টি ফোর্সে ভাগ করে প্রদর্শন করা হয় সমর কৌশল ও সন্ত্রাস বিরোধী কমান্ডো অপারেশন। এরপর বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে আকাশে ৬ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে ছোড়া হয় কিউ-২ এসএলএসএম। এরপর একে একে চলতে থাকে মহড়া। অ্যান্টি এয়ার র‌্যাপিড ফায়ারিং, সন্ত্রাসীদের কবল থেকে বাণিজ্য জাহাজ উদ্ধারসহ বিভিন্ন সমর কৌশল প্রদর্শিত হয় সেখানে। উদ্ধার তৎপরতা শেষে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার জাহাজে অবতরণ করে। এভাবে শেষ হয় ‘এক্সারসাইজ সেফগার্ড-২০১৭’। বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এসময় সেখানে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদসহ নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মহড়া শেষে মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ মহড়া তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ, কঠোর পরিশ্রম ও গভীর আত্মবিশ্বাসকেই উপস্থাপন করে। এজন্য তিনি নৌবাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার বলে নিজেদের এক অনন্য উচ্চতায় নিয়েছে। তাদের এ প্রয়াস ভবিষ্যতে আমাদের সমুদ্রসীমায় যে কোনো চ্যালেঞ্জ দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ