পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর যারা হামলা করেছে তারা অনুপ্রবেশকারী বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) যে ঘটনাটা ঘটেছে হাইকোর্টের সামনে, যা ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকায় সব জায়গায় এসেছে। আমরা নিজেরাই ছেলেদের চিনতে পারছি না! টু বি ভেরি ফ্র্যাংক, আমরা আশঙ্কা করছি, অনুপ্রবেশকারীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এর পেছনে সরকারের হাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। গতকাল (বুধবার) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, শান্তিপূর্ণভাবে যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার চেষ্টা করছি, সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটাকে বিনষ্ট করবার জন্য কাজ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায়ের তারিখ সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারির মধ্যেই মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের ওপর হামলার ওই ঘটনা ঘটে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশের হাতে আটক দুই নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেফতারের পর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কয়েকশ নেতাকর্মীকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয় থানায়।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের তারিখ সামনে রেখে সরকার দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উসকানি’ দিচ্ছে। আমাদের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের গ্রেফতার করছে। একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যেখানে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি, অথচ গ্রেফতার অভিযান চলছে, সবসময় হুমকি-টুমকি দিচ্ছে। দেশের যে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, সেটা তারা (সরকার) নিজেরাই বিনষ্ট করছে, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে বিএনপি ও বিরোধীকে বাদ দিয়ে একদলীয় নির্বাচন করার নীল নকশা বাস্তবায়নই এর উদ্দেশ্য। সরকারের তরফ থেকে এই উসকানিমূলক কাজগুলো শুরু হয়েছে যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা, সেই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা এবং তাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে আবার একটা অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। সেজন্য তারা গ্রেফতারের এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। দমননীতি বাদ দিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দিয়ে ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাথে কাউকে দেখা করতে দিচ্ছে না। তিনি একজন বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। তাকে প্রতিদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। ওষুধগুলো পর্যন্ত সঙ্গে নিতে দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তুলে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তা স্বীকার করেনি। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্পিকার জমিরউদ্দিন সরকার সাহেবের উত্তরার বাসায় পুলিশ গতরাতে গেছে খোঁজ করেছে। যুবদলের সাবেক সহ সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান রিন্টুকে গতরাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীকে আবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এইভাবে দমনপীড়ন চলছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান ও জিনজিরা যুব দলের সভাপতি মামুনের বাসায় পুলিশ মঙ্গলবার রাত আর বুধবার সকালে ‘অভিযান’ চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে দলের সহ সম্পাদক অর্পনা রায়, ছেলের স্ত্রী নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ ও মুনির হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।