Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সব পত্রিকা মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করবে আশা তথ্যমন্ত্রীর

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আগামীতে সব পত্রিকা মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয় জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নবম ওয়েজ বোর্ড শুধু প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য। টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের জন্য আপাতত কিছু করা যায়নি। কারণ এগুলোর কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হয়নি। সরকার, মালিক ও শ্রমিক— এই ত্রিপক্ষীয় কর্মপদ্ধতি ঠিক হলে ছয় মাসের মধ্যে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই দুটি মাধ্যমকে নবম ওয়েজ বোর্ডে একীভূত করতে পারবো। হাসানুল হক ইনু বলেন, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমকে মজুরি বোর্ড রোয়েদাদের আওতায় আনতে সরকারের সদিচ্ছার কোন অভাব নেই। ২০১৬ সালে এই লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি কোন প্রস্তাব করেনি। তবুও আমরা হাল ছাড়িনি। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বোর্ড সুপারিশ করবে বলে নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে আমরা শুধু সাংবাদিক সহায়তা নীতি প্রণয়ন করেই ক্ষাস্ত হইনি, আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয় স¤প্রচার নীতিমালা, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছি এবং জাতীয় স¤প্রচার আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। মন্ত্রী বলেন, কমিটিতে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি পাওয়া যাচ্ছিল না। এজন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে দেরি হয়েছে। মালিক পক্ষের প্রতিনিধি না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে নামসহ প্রজ্ঞাপন জারি করতে পেরেছি। মালিক পক্ষের নাম বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করলে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন অনেক কঠিন হতো। এখনও অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের (ডিএফপি) নেতৃত্বে একটি মনিটরিং কমিটি আছে। সেখানে সরকারের সঙ্গে মালিক, সাংবাদিক ও কর্মচারী প্রতিনিধিরা থাকেন। কমিটি যখন কোনও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সনদ দেয় তখনই সেই প্রতিষ্ঠান সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়। ইনু বলেন, ওয়েজ বোর্ড না দিয়েও সুযোগ-সুবিধা নেয় এমন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে এখনও আমরা নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তবে ওয়েজ বোর্ডের ওপর আস্থা রাখুন, আপনারা সুফল পাবেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে হাসানুল হক ইনু নবম ওয়েজবোর্ড অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সহযোগিতার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানান। ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করেছিল সরকার। সংবাদকর্মীদের মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ বাড়ানো হয় তখন।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ