পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। অহেতুক ভীতি সৃষ্টি করার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী চান না কেউ অহেতুক হয়রানির শিকার হোক। ৫৭ ধারায় বাকস্বাধীনতা হরণের চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে তা করা হয়নি। বাকস্বাধীনতা একটুও হরণ করা হবে না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা কীভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য হয়রানিমূলক, সেটা জানেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই ধারার জন্য দুর্নীতি বা অপরাধের গোপন চিত্র ধারণ অপরাধ হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, আমি আরেকবার অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী। জনগণ মানে সাংবাদিকতা। সেই কারণেই স্পষ্ট করে এই ধারাগুলো দেয়া হয়েছে। যাতে অস্পষ্টতা দূর হয়। প্রধান বিচারপতি কখন নিয়োগ দেয়া হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সঠিকভাবে বলতে পারবেন। আমি এটুকু বলতে পারি, খুব শিগগিরই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার জন্য গুপ্তচরবৃত্তির আইন কোনো নতুন বিষয় না। এই ধরনের আইন আগেও ছিল। এবার ডিজিটাল আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাত্র। এই ধারার কারণে দুর্নীতির চিত্র গোপনে ধারণে কোনো অপরাধ হবে না। আইনমন্ত্রী বলেন, একজনের দুর্নীতির ফাইল, ঘুষ লেনদের চিত্র ধারণ করলে বা অপরাধ প্রকাশ করলে কোনো অপরাধ হবে না। আপনি যদি কোনো দুর্নীতি বা অপরাধ প্রকাশ করেন, তাহলে আপনি সরকারকে সহযোগিতা করছেন, কোনো আইনে এটা অপরাধ হবে না, এটা আপনাদের আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই। সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থার কোন গোপনীয় বা অতি গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইস বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ধারণ, প্রেরণ, সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে সেটা হবে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ। এই আইনে ১৪ বছরের কারাদন্ড এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা এক কোটি টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ড। এই ধারাটির ফলে বিশেষ করে ডিজিটাল মাধ্যমে সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে যাবে বলে সমালোচনা উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের দুর্নীতি যেন ফাঁস না হয়, সে জন্যই এই আইন করা হচ্ছে। তবে এই ধারার কারণে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন না আইনমন্ত্রী। গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে ধারাটি পড়ে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে বোঝান, এখানে সাংবাদিক কীভাবে হয়রানির শিকার হবে? মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের অতি গোপনীয় জিনিস চুরি করা বা নেয়া তো বর্তমান আইনেও অপরাধ। আমরা শুধু বলেছি, এটা ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে যদি কেউ চুরিটা করে, তাহলে সেটা অপরাধ হবে। তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার চেয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি আইন আরও কঠোর হয়ে গেলো কি না, এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারা পড়লে মনে হয় দুনিয়ার সব অপরাধের বিচার এর মধ্যে করা যায়। এ কারণে এটা নিয়ে বিতর্ক আছে এবং এ জন্যই আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছি। এই আইনে প্রত্যেকটা জিনিস আমরা স্পষ্ট করেছি। আগে ৫৭ ধারায় সর্বনিম্ন সাজা ছিল সাত বছর, সর্বোচ্চ ছিল ১৪ বছর। মাইনর অপরাধ করলেও সাত বছরের সাজার বিধান ছিল। কিন্তু এই আইনে সর্বনিম্ন সাজা হলো তিন বছর। প্রত্যেকটা জিনিস আমরা সুনির্দিষ্ট করেছি, স্পষ্ট করেছি। আমাদের এই আইনটা করার উদ্দেশ্য হলো, কেউ যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীও চান।
তিনি বলেন, এখন এখানে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) যেভাবে অপরাধের ধারাগুলো সংজ্ঞায়িত হয়েছে এবং অপরাধটা কী সেটা পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে তাতে আপনাদের (সাংবাদিক) বাক-স্বাধীনতা একটু হলেও ক্ষুণœ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।