বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
৩২ ধারা নিয়ে সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন -বুলবুল
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সমাজের দর্পণ। জনমত সৃষ্টিতে সাংবাদিকরা কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে লেখনির মাধ্যমে বিশেষ কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের নাম সাংবাদিকতা নয়। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করে সিটি মেয়র বলেন, বর্তমানে সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি অসত্য লেখনির মাধ্যমে নিজের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে করে মহান এ পেশার মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। তিনি কতিপয় অপসাংবাদিকদের বিষয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের সজাগ থাকার তাগিদ দেন। যখন যেকোন প্রয়োজনে মেয়র আমৃত্যু সাংবাদিকদের পাশে থাকারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) দ্বিবার্ষিক সম্মেলন, গুণীজন ও কৃতী সাংবাদিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সিইউজের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ।
বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার ফলে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়েছে। নতুন ওয়েজবোর্ডে প্রিন্ট মিডিয়ার সাথে অবশ্যই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের ন্যায্য প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। তিনি সরকার কর্তৃক ৫৭ ধারা বাতিল করে ৩২ ধারা চালুর প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে সমগ্র সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে বলেছেন, এর অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে আইন-বিধি তৈরির আগে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকবৃন্দ, গুণীজন, সাংবাদিকতার শিক্ষকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সরকারের আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজের মাঝে এক ধরনের ভীতি-আতঙ্ক থাকবে। মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, তবে গুপ্তচরবৃত্তি রোধ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা সুরক্ষার প্রয়োজনে সরকার আইনী পদক্ষেপ নেবে এ নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তা করতে গিয়ে সাংবাদিকগণ যেন এর অপপ্রয়োগের শিকার না হন সে বিষয়টি নিশ্চিত থাকতে হবে। এর জন্য একটি সেফটি নেট রাখতে হবে। সম্মেলনে ইউএসটিসির ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়াকে গুণীজন এবং মোয়াজ্জেমুল হক, আবু তাহের মুহাম্মদ, মোস্তাফা কামাল পাশা, শাহীন আরা বেগমকে (ডেইজি মউদুদ) কৃতী সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মল্লিক, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, যুগ্ম সম্পাদক স্বরূপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সিইউজে সদস্যদের উপস্থিতিতে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।