Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রানীশংকৈলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:২৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল পৌরসভার নতুন রাস্তা নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার দোষ দিচ্ছেন ইটভাটা মালিককে। রাস্তা নির্মাণে নরম ইট ব্যবহার করে চালিয়ে গেলেও ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গাইছেন জাইকা প্রকৌশলী। রানীশংকৈল পৌরসভার তথ্য মতে, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার ছয়টি রাস্তা নির্মাণ কাজে জাইকার অর্থায়নে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যায়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে সিরাজগঞ্জ জেলার মির্জা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলে তিনি আবার কাজটি করার দায়িত্ব দেন ওই জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাবিল কনস্ট্রাকশনের প্রোপাইটর সুইটকে।
এরই মধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় রাণীশংকৈল পৌরসভার ৮ নং ওর্য়াডের বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে খুনিয়া দীঘি সংলগ্ন একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। নিয়মনুযায়ী ভাটার পিকিট ইট ব্যবহার করার বিধান থাকলেও সেখানে বিভিন্ন ধরনের মিকচার ভাঙা রাবিশ ইট স্ত‚প করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই কিছু শ্রমিক ওই ইটগুলো দিয়েই খোয়া করছেন। যা ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণাধীন রাস্তায়।
কাজের শুরু থেকেই অনিয়ম দেখা দেয়ায় স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তা খুড়ে রোলার মেশিন দিয়ে মাটি না বসিয়ে হাতে যন্ত্র ব্যবহার করে ইটের খোয়া সবানো হচ্ছে। যা নিয়মবহির্ভূত। এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিন্ম মানের ইট কিনে নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য খোয়া ভাঙাছেন। যা নিয়মনুযায়ী ইটের গুণগুত মান নির্ণয়ের জন্য ল্যাবটেস্ট করার বিধান থাকলেও করা হচ্ছে না। অন্যদিকে কাজ শুরু হওয়ার আগেই রাস্তা নির্মাণে কি কি উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার একটি তালিকা টাঙ্গানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এমন অবস্থায় ক্ষব্ধ স্থানীয়রা। এভাবে কাজ সম্পূর্ণ হলে সরকারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জনসাধারণ। তাই বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাজ শেষ করার আহŸান জানান স্থানীয়দের।
জাইকার প্রতিনিধি ও মিউনিসিপাল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল আলমের কাছে নিন্ম মানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারের সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, আমার তো গোটা ইটের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মাত্র ৫০ এমএলের খোয়া। তবে তার দাবি, কাজ নিয়মের বাইরে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাবিল কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার সুইট জানান,আমরা তিনটি ভাটা থেকে ইট নিয়েছি। একটি ভাটা আমাদের খারাপ ইট দিয়েছে। এ ইট ব্যবহার করবেন কিনা প্রশ্নে বলেন, যেহেতু দিয়ে দিছেম তো আর কি করার।
এ বিষয়ে রানীশংকেল উপজেলা পৌরসভার মেয়র আলমগীর সরকারের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ