Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অনশন ভাঙলেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচির ১৫তম দিনে শিক্ষকদের কাছে যান মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান। বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল খালেক বলেন, শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং বৈশাখী ভাতা দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এছাড়া আমাদের জাতীয়করণের দাবি প্রধানমন্ত্রী আগামী বাজেটে দেখবেন বলে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। নন-এমপিওদের দাবি পূরণে সরকার আশ্বাস দেওয়ার পর জাতীয়করণের দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এই শিক্ষকরা। ১৫ জানুয়ারি থেকে তারা শুরু করেন আমরণ অনশন। দাবি পূরণে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন তারা। ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৫ শতাংশের বেশি তাদের আন্দোলনে একাত্ম। ফোরামের আরেক নেতা রবিউল ইসলাম জানান, প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে অনশন করতে গিয়ে তাদের ১৬৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং বৈষম্য দূর করতে জাতীয়করণের বিকল্প নেই। এর জন্য সরকারকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন কাঠামো নির্ধারণে একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় ও সঞ্চিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হলে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা জাতীয়করণে সরকারের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন নেই বলে মনে করে ফোরামের নেতারা।
শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম তথ্য অনুযায়ি, দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১৯ হাজার ২৩৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪ হাজার ৭টি কলেজ, ৯ হাজার ৩৪১টি মাদরাসা ও ৫ হাজার ৮৯৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৬৭৭ জন শিক্ষক ও এক কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ