বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য পরিবহন, বিতরণ ও সেবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবানে মাদকের অবৈধ প্রবেশ বিশেষ করে গাঁজা ও ফেনসিডিলের অবৈধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ-নিরোধে অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিবিআই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত এ আদেশ দেন। একটি জাতীয় দৈনিকে মাদক মানে বিষয়: ইয়াবার গ্রামে কোটিপতি বাসিন্দা শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে ইয়াবা ও অপরাপর মাদকদ্রব্য অবাধে প্রবেশ, পরিবহন ও অবৈধভাবে বাজারজাতকরণ রোধে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সরকারের সংশ্লষ্টদের নিষিÍ্রয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ইউএনওকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া একমাস পর পিবিআইকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১ মার্চ দিনও নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াবা ব্যবসার মূল কেন্দ্র কক্সবাজারের টেকনাফ। এখান থেকেই সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হয় সর্বনাশা এ মাদক। ব্যবসাটা চলে এভাবে- ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠানো হয় টেকনাফের বিশেষ একজনকে। জানাতে হয় কী পরিমাণ ইয়াবা লাগবে, কোথায় পাঠাতে হবে। ইয়াবা চলে যায় সেই ঠিকানায়। আর টাকা পাঠানোও এখন তো অনেক সহজ। ব্যাংক হিসাব তো আছেই, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।