Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাবি ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


জাবি রিপোর্টার : শিক্ষকের গাড়ি পর্কিংয়ের প্রতিবাদ করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুদ্দিন মুহাম্মাদ সানাউল ও আরমানুল ইসলাম খান নামের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি।
গতকাল অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শৃঙ্খলা কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বহিস্কারের সুপারিশটি সিন্ডিকেটের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। সিন্ডিকেট অনুমোদন দিলেই সাময়িক বহিস্কার কার্যকর হবে।’ সূত্রটি আরো জনায়, ‘সুপারিশ প্রাপ্ত আরমান ¯œাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী হওয়ায় তার একাডেমিক বহিস্কার কার্যকর হবে। অন্যদিকে নুরুদ্দিন মুহাম্মাদ সানাউলের ছাত্র জীবন শেষ। তাই বহিষ্কারকালীন সময়ে সানাউলের ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তরের সনদপত্র আটকিয়ে রাখা হবে।’
এ বহিষ্কারের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাধ্যে। এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন ‘শুক্রবার ও শনিবার ক্যাম্পাসে গাড়ি ভাঙা উৎসব করবো, প্লিজ আমাকেও বহিষ্কার করুন।’ আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন ‘আজ আমরা কান থাকতেও বধির, চোখ থাকতেও অন্ধ। বিবেক আজ স্বার্থও অর্থের কাছে বিক্রি। এখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও অন্যায়। আর কতদিন আমরা মুখ বুজে থাকব। ছাত্র নেতৃত্বের এতো দুবর্লতা কেন? ছাত্রদের প্রয়োজনে পাশে না দাড়ালে এমন ছাত্র নেতৃত্ব থাকার কোন প্রয়োজন নাই।’
এ বিষয়ে ছাত্রইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমরান নাদিম বলেন, ‘সাধারণত আমরা দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন ঘটনার তদন্ত করতে কয়েকমাস সময় নেওয়া হয়। কিন্তু এ ঘটনা তড়িঘড়ি করে করাতে আমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এমন কিছু শিক্ষার্থীরা আশা করেনা।’ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘বিচার যাতে এক পাক্ষিক না হয়। ছাত্র-শিক্ষক উভয় পক্ষের অভিযোগের আলোকে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় খাবার খেতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের বাধাকে উপেক্ষা করে রাস্তার উপরেই গাড়ি রাখেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান। এসময় বহিস্কারের সুপারিশপ্রাপ্ত ওই দুই শিক্ষার্থী রাস্তা থেকে গাড়িটি সরিয়ে রাখতে বলেন। কিন্তু শিক্ষক গাড়িটি না সরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতÐায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক আরমানকে মারতে উদ্যত হন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে এ ঘটনায় গত রোববার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ সভা থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দুই শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ১ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। আর শিক্ষক সমিতি ‘তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ