পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা’। কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী রচিত ‘চাষী’ কবিতায় কৃষকদের পরিচয় ‘বড়’ সাধক। কৃষককে বলা হয় জাতির মেরুদন্ড। সারাবছর তারা বিরামহীন শ্রম-ঘাম দিয়ে ফসল ফলান। দিন দিন কৃষিকাজে খরচ বেড়েই চলেছে। লোকসান দিতে দিতে পোষাতে না পেরে অনেক চাষীই বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। পেটের দায়ে ভিন্ন কাজেকর্মে পেশাবদল করতে বাধ্য হয়েছেন। চাষী ছাড়াও খামারী-উদ্যোক্তারাও নানামুখী সমস্যা-সঙ্কটে জর্জরিত। সবার একই কথা, কৃষি-খামারের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর কুলিয়ে উঠতে পারছি না। কৃষিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে কৃষকের জন্য লাগসই উপকারি প্রযুক্তির এখনও অনেক অভাব রয়ে গেছে। চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, নেপাল, ফিলিপাইনসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ কৃষি-খামার বান্ধব হরেক ধরনের প্রযুক্তির সুলভ ব্যবহারে তর তর করে এগিয়ে চলেছে। আর আমরা থমকে আছি। অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছি।
কৃষি ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, কৃষিখাতে চাষবাসে ও ফলমূল বা পোলট্রি-ডেইরিভিত্তিক খামারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় খরচ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রান্তিক চাষী পাচ্ছে না উৎপাদিত কৃষিজ দ্রব্যের ন্যায্য দর। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জোয়ারের প্রভাব বেড়ে গিয়ে উপকূলীয় অঞ্চল এমনকি আরও দূরবর্তী এলাকায়ও লবণাক্ততার আগ্রাসন ব্যাপকতর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লবণাক্ততার পাশাপাশি যথেচ্ছভাবে কীটনাশক ওষুধ নামের বিষ ও মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার, অবৈধভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা ইটভাটার কারণে জমি হারাচ্ছে প্রাকৃতিক উর্বরতা শক্তি। উপকারি পাখি ও পোকা-মাকড় বিলুপ্ত হয়ে ক্ষতিক্ষর পোকার আক্রমনও বাড়ছে। আর ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকায় অনাবৃষ্টি-খরাজনিত মরুময়তার বিরূপ প্রভাব, আবহাওয়া-জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনের কারণে বলতে গেলে কাহিল কৃষক ও খামারীদের নাভিশ্বাস অবস্থা। এহেন বিরূপ পরিস্থিতি ও পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গরিব প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য সহায়ক নিত্যনতুন গবেষণা ও কৌশল উদ্ভাবন অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কৃষি-খামার খাতে প্রযুক্তির যতটা প্রচলন আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দের অভাবে ধুঁকছে কৃষি-খামারের গবেষণা ও প্রযুক্তি খাত। এতে করে যুগোপযোগী উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে কৃষিজ গবেষণার পরিধি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি দক্ষ প্রশিক্ষিত জনবল ঘাটতি বিরাজ করছে। অনেক বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
কৃষি-খামার বান্ধব গবেষণা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত সুবিধা সুলভে প্রসারের বিষয়ে আলাপকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শফিউল আলম গতকাল (সোমবার) দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক জলবায়ু, পরিবেশ-প্রকৃতি ও সময়ের চাহিদার আলোকে আমাদের সঠিক কর্মপরিকল্পনা সহকারে এগিয়ে যেতে হবে। বিরূপ আবহাওয়া-পরিবেশ বা অবস্থার মধ্যে যেসব জাতের খাদ্যশস্য-বীজ টিকে থাকতে পারে সেগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ এবং আবাদ-উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ হবে। তাছাড়া অঞ্চলভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্র চালু করে সেই বিশেষ অঞ্চলের সমস্যা-সম্ভাবনার আলোকে চাষাবাদে প্রাধান্য দিতে হবে। যেমন- উত্তরবঙ্গের কৃষি-খামার আর দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থা এক নয়। অঞ্চলভিত্তিক গবেষণা হলে জমির উর্বরতা, বৈশিষ্ট্য অনুসারে আবাদ সুফল বয়ে আনবে। তিনি বলেন, ময়মনসিংহে রয়েছে আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে প্রাণিসম্পদ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে গবেষণা এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতা নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যলয়সমূহের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র থাকলে আমাদের কৃষি-খামারে উৎপাদনে সহায়ক হবে। বিশ্বের অনেক দেশে তা প্রচলিত আছে। সামগ্রিকভাবে বিরূপ প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে টেকসই কৃষি পদ্ধতি ও সুলভ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে তিনি তাগিদ দেন।
সংশ্লিষ্ট কৃষিবিদগণ জানান, ভিয়েতনামে অতিসা¤প্রতিক সময়ে কৃষি-খামারে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলে স্বীকার করতেই হয়, সমগ্র কৃষিখাত আজ বিজ্ঞানময়। কৃষি মানে শিল্প। কৃষক ফসলের বীজ সংগ্রহ করা, জমিতে বোনা, ফসল আবাদ, বালাই থেকে সুরক্ষা, সার প্রয়োগ ও ফলানো থেকে শুরু করে পাকা ফসল গোলায় তোলা, মজুদ ও সংরক্ষণ বিপণন কিংবা সরকারের নিরাপদ খাদ্য মজুদ কৌশল পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মাঠ কর্মীরা কৃষকের বন্ধু হয়ে পাশে থাকছেন। চীন, ভারত, নেপালেও ধান, গম, ডাল জাতীয় খাদ্যশস্য, পেঁয়াজ-রসুনসহ কৃষিজ পণ্যসামগ্রী এবং সেই সাথে প্রাণিজ সম্পদের খামারীদের সর্বাত্মক প্রণোদনা দিচ্ছে। কৃষিজ যান্ত্রিক প্রযুক্তিগত সুবিধা ও অযান্ত্রিক সরঞ্জামগুলো সহজে কৃষকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। তদুপরি তথ্য-প্রযুক্তি খাত নিবিড় সুবিন্যস্ত করে ঢেলে সাজানো হয়েছে কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে। আবহাওয়া-জলবায়ু ও পরিবেশের পরিবর্তনের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কৃষকের জন্য সহজবোধ্য পূর্বাভাস ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। কৃষি পূর্বাভাস সেখানে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গবেষক জানান, দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নিরলস প্রচেষ্টায় কৃষি-খামারে সাফল্য অনেক। তবে জনসংখ্যাবহুল বাংলাদেশের জন্য তা যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে মানবসম্পদকে আরও সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে কৃষি-খামার উন্নয়ন বা আধুনিকায়নে গবেষণা কার্যক্রম চলছে গতানুগতিক ধারায়। কৃষিতে ভিয়েতনামের মতো এগিয়ে যেতে হলে বিজ্ঞান গবেষণার প্রসার, প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা কৃষকের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া এবং ব্যয়-সাশ্রয় নিশ্চিত হওয়া দরকার। কৃষিখাতে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই গবেষণায় দ্রুত ফলাফল নিশ্চিত করা অপরিহার্য। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার সুলভ করে তা গরীব কৃষকের উপকারে নিয়ে আসাই সবচেয়ে বেশী জরুরি। যার ফলে প্রান্তিক চাষী, খামারী থেকে শুরু করে একজন পানের বরজের মালিক বা চাষী পর্যন্ত উৎপাদনে আগ্রহী হবেন। উৎপাদিত কৃষি-খামারজাত পণ্যের উপযুক্ত বাজারদর নিশ্চিত করতে হলে মধ্যস্বত্ত¡ভোগী, দালাল, ফড়িয়ামুক্ত বাজারজাত ব্যবস্থায় সরকারের সরাসরি তদারকি চাই। ফল-ফসল সংরক্ষণ পদ্ধতি আরও বিজ্ঞানসম্মত এবং স্বল্পব্যয়ী হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
গবেষকরা বলেছেন, কৃষি-খামার উন্নয়নের জন্য লাভজনক প্রজাতির উদ্ভাবন করা সময়ের দাবি। নিছক তাত্তি¡ক গবেষণা কৃষকের উপকারে আসে না। বরং চাষীসহ সাধারণ জনগণের নাগালে সরাসরি পেঁৗঁছানোর মাধ্যমে দেশময় ছড়িয়ে দিতে হবে কৃষিজ সম্পদ গবেষণায় অর্জিত সুফল এবং নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাফল্য। কৃষি গবেষণাকে গণমুখী করে এক্ষেত্রে সেবার গুণগত মান বৃদ্ধির বিকল্প নেই। দুই বা তিন ফসলি জমির আবাদের মাঝামাঝি সময়ে যখন কৃষক পরিবারের হাতে তেমন কাজকর্ম থাকেনা তখন বাঁশ-বেত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন, সবজি চাষের জন্য তাদেরকে আর্থিক সহায়তা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) দেয়া প্রয়োজন। এখন অনেক কৃষক-কিষাণী সুদী মহাজন, এনজিও’র কাছে দ্বারস্থ হয়ে জিম্মিদশায় পড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
বিএফআরআই’র গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র উপকূলীয় বিশাল এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল উন্নয়ন এবং জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ও এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা বা লাগসই ব্যবস্থা সম্পর্কে অব্যাহত গবেষণা, প্রযুক্তিগত বিকাশের লক্ষ্যে বরিশালে বিশেষায়িত কেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বরিশাল উপকূলে, দেশের উত্তরাঞ্চলের মরুময় প্রবণতা, শালবন-ভূমির বিবর্তন সম্পর্কে গবেষণার মাধ্যমে এসব এলাকার আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কর্মকৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতীয় স্বার্থে কৃষি-খামার গবেষণাখাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বর্তমানে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের শতকরা প্রায় ৫০ শতাংশ অনুমোদিত পদ খালি পড়ে আছে। বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, দেশের উপকূলভাগ এমনকি আশপাশ অঞ্চলে সামুদ্রিক জোয়ারের প্রভাব বেড়ে গিয়ে লবণাক্ততার আগ্রাসন ক্রমাগত স¤প্রসারণ ঘটছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলার সিংহভাগ লবণাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। যার বিশাল অংশই এখন আবাদের অনুপযোগী। এ ধরনের এলাকাসমূহের জন্য দুর্যোগ, বৈরী আবহাওয়া ও নোনা-সহনশীল জাতের ধানের আবাদ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন প্রজাতি উদ্ভাবনের সাথে পুরনো বিলুপ্তির মুখোমুখি ধানসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য সংরক্ষণে উদ্যোগ এবং সেই সাথে বিকল্প খাদ্যশস্য, সবজির উপযোগিতাও যাচাই করা প্রয়োজন। এরজন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষক-বান্ধব ভূমিকা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
গবেষকদের অভিমত, দেশে খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সমানতালে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন দ্রুত বর্ধনশীল, অর্থনৈতিক লাভজনক ধান-গমসহ কৃষিবীজ সুলভ করা ও নতুন নতুন প্রজাতি উদ্ভাবন। কৃষিবীজ বহুমুখীকরণ প্রয়োজন। এসব বিষয়ে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মাঝে পর্যালোচনা ও মতের আদান-প্রদান বাড়াতে হবে। গবেষণা ও প্রযুক্তি হতে হবে ব্যয় সাশ্রয়ী এবং যৌক্তিক। ফল-ফসলের পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে আরও গবেষণা কার্যক্রম, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাবের কারণে সুন্দরবন ও উপক‚লীয় এলাকার জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে। ভোক্তাদের চাহিদার নিরিখেই অর্থাৎ বাস্তবমুখী গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সেই সাথে ধারাবাহিক গবেষণার ফলাফল যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পাওয়া যায় এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখভাল হওয়া দরকার। সর্বোপরি গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তি সহজলভ্য করে তা চাষী-খামারী ও ভোক্তাদের কাছে যাতে খুব সহজে পৌঁছে যায় তা নিশ্চিত থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।