Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবীজি হলেন দীপ্তমান চেরাগ

২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জৈনপুরী দরবার শরীফের বার্ষিক সমাপ্তি মাহফিলে পীর সাহেব

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : মোহাম্মদপুরস্থ টাউনহল শহীদ পার্ক ময়দানে আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল এম.এ মাদ্রাসা ও রাহমানীয়া জৈনপুরী খানকা শরীফ কমপ্লেক্সের উদ্যোগে এবং বিশ্ববিখ্যাত মরহুম জৈনপুরী পীরে কামেল সৈয়দ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সামীহ (রঃ) এর ৪১তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী বিশাল ইছালে ছাওয়াব ও তাফসীরে কুরআন মাহফিল গত শনিবার শেষ হয়েছে। উভয় দিন আখেরী মুনাজাত ও তাফসীর করেন ওলীয়ে কামিল, আমীরে সত্যের ডাক হযরত আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীর সাহেব। মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন যথাক্রমে কমপ্লেক্সের সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্জ শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং আজীবন সদস্য) আলহাজ্জ এইচ.এম রমজান পাশা সিঙ্গাপুরী। কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক লায়ন্স আলহাজ্জ পীরজাদা সৈয়দ সিরাজ-উদ-দৌলা মাহফিল পরিচালনা করেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন আলহাজ্জ মাওলানা ওসমান গণি সালেহী এবং অধ্যক্ষ আলহাজ্জ মাওলানা মোঃ কাফিল উদ্দিন সরকার। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী এবং কমপ্লেক্সের আজীবন সদস্য ও মোহাম্মদপুর থানা সভাপতি আলহাজ্জ ডা: মোঃ খলিলুর রহমান।
উভয় দিন ওয়াজ করেন, দুই সহোদর তরুণ বক্তা সৈয়দ মেশকাতুর রহমান জৈনপুরী ও শিশু বক্তা হুমাইয়াদ মাবরুক জৈনপুরী এবং প্রফেসর সোহরাব হোসেন ও অন্য ওলামা মাশায়েখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পপতি পীরজাদা এস.এম জিল্লুর রহমান আজাদ, মোঃ মাসুদুর রহমান, আরাফাত শাহরিয়া রুদ্র, নাছির আহমেদ বেলাল, মোঃ নাছির উদ্দিন, আলহাজ্জ হযরত মাওলানা ডা. মোঃ আব্দুস ছবুর কামাল, আলহাজ্জ শেখ আকবর আলী, সৈয়দ আনিছুর রহমান ও সৈয়দ লুৎফুর রহমান হেলাল প্রমুখ।
তাফসীরকালে জৈনপুরী পীর সাহেব বলেন, আল্লাহ তায়ালা দয়াল নবীজী (সাঃ) কে সারা বিশ্বের জন্য যেমন রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছেন তেমন তাঁহাকে ইহ ও পরকালের জন্য সিরাজাম্ মুনিরা অর্থাৎ দীপ্তমান চেরাগ (বাতি) হিসাবে প্রেরণ করেছেন। প্রিয় নবীজীকে দীপ্তমান চেরাগ অর্থাৎ সদা সর্বদা আলোদানকারী বলে কুরআন মাজীদে এই জন্য বলা হয়েছে যে, আলো কখনও লয় বা ক্ষয় হয় না এক মুহূর্তের জন্য নিভে না, আসমান ও জমিনে আলো দান করে, এমন কি জমিনের নিচে কবরে হাজির হয়ে আলো দান করে এবং জন্মের পূর্বে ও সমস্ত নবীদের নিকট আলো হিসাবে বিদ্যমান ছিল। জন্মের (বেলাদতের) পরে সারা বিশ্বকে আলোদান করেছেন এমন কি ওফাতের পরে কেয়ামত পর্যন্ত নিখিল জগতকে আলোদান করে যাচ্ছেন এবং কেয়ামতের দিন মাকামাম্ মাহ্মুদার নিকট হাজির হওয়া অবধি যিনি নূর হিসাবে বিদ্যমান থাকবেন তাঁকেই বলা হয় সিরাজাম্ মুনীরা। পীর সাহেব বলেন, সব ক্ষেত্রে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের দলীল (প্রমাণ) মওজুদ রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ