পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে জনগণকে আহ্বান জানানো বিএনপি নেতারা কর্মীদেরকেই মাঠে নামাতে পারবেন না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমনও মনে করেন যে, খালেদা জিয়ার জন্য ভোট বর্জন করলে বিএনপিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থনীতিবিদ শাহ এসএম কিবরিয়া হত্যার ১৩তম বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এক আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপির নেতাদের মধ্যে চলছে কথার লড়াই। নেত্রীর সাজা হলে দেশে আগুন জ্বালবে বিএনপির এমন হুঁশিয়ারি পাশাপাশি গত শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এ মামলা নিয়ে সোচ্চার হতে দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির পাশে দাঁড়াবে না জনগণ। বিএনপির নেতাদের ডাকে কোন কর্মীই মাঠে আসবেন না। যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে এসি রুমে বসে হিন্দি সিনেমা দেখে তাদের ডাকে কোন কর্মী মাঠে আসে না।
খালেদা জিয়ার সাজা হলেও বিএনপির ভোটে না আসার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল নির্বাচন কমিশনে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। আমি বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করব ে বেগম খালেদা জিয়াকে রক্ষা করতে গিয়ে বিএনপি যেন একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে না যায়। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে (বিএনপির নেতাদের) কোনটা বড়? বেগম জিয়া নাকি বিএনপি? কোনটা আপনাদের কাছে প্রধান। সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের।
রায় নিয়ে হুঁশিয়ারি দেয়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতের ব্যবস্থা দাবি করে হাছান বলেন, তারা (বিএনপির নেতারা) মাঠ গরম করছে। টেলিভিশনের পর্দা গরম করছে। টকশোর পর্দা ফাটিয়ে দিচ্ছে। আদালতকে হুমকি দিচ্ছে। তারা বলে শাস্তি হলে আগুন জ্বলবে। তাদের এসব বক্তব্যের জন্য আদালত ব্যবস্থা নেবেন আশা করি।
আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন দাবি করে হাছান বলেন, সরকারের মন্ত্রী এমপিদের পর্যন্ত আদালতের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। কেউ জেলও খেটেছে। কিন্তু বেগম জিয়া আদালতকে হেনস্থা করেছেন। দেশে থেকে বার বার সময় নিয়েছেন। দেশে থেকে এভাবে বার বার আদালতের কাছে সময় নেয়া রেকর্ড মনে হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরী, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, চিত্রনায়িকা দিলারা, আওয়ামী লীগ নেতা অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।