পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিলে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। খালেদা জিয়ার বিষয়ে কোন ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। গতকাল (রোববার) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার প্রেক্ষিতে জোটের নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন খালেদা জিয়া। তাই বৈঠকের অধিকাংশ সময় জুড়েই এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত জোটের নেতারা জানান, খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে জোটগতভাবে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটের এক নেতা বলেন, সভায় বেগম জিয়ার মামলার বিষয়টিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বেগম জিয়ার কিছু হলে সর্বাত্মক আন্দোলনে যাবে জোট। এ বিষয়ে সবাই একমত হয়ে সম্মতিও দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত জোটের অপর এক শীর্ষ নেতা বলেন, আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মামলা আইনীভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপি প্রধান। আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ নেতা বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি নিবেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন জোটের সবদল একত্রে তা বাস্তবায়ন করবেন। খালেদা জিয়া নিজে ঘোষণা করুক বা দলের পক্ষ থেকে যাকেই ঘোষণা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হোক তার ঘোষণার সাথে সাথে ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসবে। খালেদা জিয়াকে জেলে নিলে সেক্ষেত্রে কি করা হবে এমন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখনো বিশ্বাস খালেদা জিয়ার মতো এমন জনপ্রিয় একজন নেত্রীকে জেলে নেওয়ার মতো ভুল সরকার করবে না। তবে তারা যে বিএনপি প্রধানকে নির্বাচনে যেতে না দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সেটাও বিবেচনায় রেখেছে জোট।
একটি দলের শীর্ষ নেতা জানান সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের একলা চলো নীতির বিষয়ে বেশ কয়েকজন প্রশ্ন তুললে বৈঠকে উপস্থিত জামায়াতের প্রতিনিধি বলেন, বেগম জিয়ার ইস্যুতে তারা আগের মতোই আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখবে। বিগত দিনগুলোতে বিএনপির সাথে জামায়াত যেমন আন্দোলনে সক্রিয় ছিল এবারও থাকবে।
এর আগে গতকাল রাত ৯টা ১০ মিনিটে গুলশানে জোটের বৈঠক শুরু হয়ে চলে ১১টা পর্যন্ত। এসময় জোট প্রধান খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।