বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাবি সংবাদদাতা : ছাত্রদলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে ক্যাম্পাস জুড়ে ছাত্রলীগের মহড়া ও অপরদিকে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজকের হরতাল সফল করার জন্য প্রগতিশীল ছাত্র জোটের মিছিল ও মানববন্ধনকে ঘিড়ে গতকাল টান টান উত্তেজনা বিরাজ করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রদলের কর্মসূচি প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রায় দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার নেতাকর্মীরা।
এদিকে ছাত্রলীগের অবস্থানের মধ্যেই ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। গতকাল রোববার সংগঠনটির ঢাবি শাখার দফতর সম্পাদক এস এম ইসামস্তাজ ইজাজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ জানুয়ারি ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নকারীর বিচারসহ ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ এর বর্বরোচিত হামলা, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি এবং ছাত্রলীগের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী পালন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সকাল ৯ টায় শাহবাগ মোড় থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে রমনা পার্কের গেটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যম শেষ হয়। এসময় আল মেহেদী তালুকদার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীর বস্ত্রহরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, হামলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্বে অবহেলার সুস্পষ্ট কারণে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করছি।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজকের সারাদেশের সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবিব রুমন। তাদের চারটি দাবি হলো- মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার করা, আহতদের চিকিৎসা ব্যয় প্রশাসনকে বহন করা, ১৫ জানুয়ারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার, অবিলম্বে সাত কলেজ সংকট সমাধান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের সংকট নিরসন করা।
অপরদিকে বেলা দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে রাস্তা অবরোধ করে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ২৩ তারিখ ছাত্রলীগের হামলার বিচার ও দাবি করেন সেইসাথে তাদের চার দফা দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান। এরপর সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে শেষ হয়। তাদের পূর্ব ঘোষিত চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও যৌন নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন, সোহান, সানীসহ জড়িতদের বহিষ্কার করা; অধিভুক্ত ৭ কলেজের সংকট দ্রæত নিরসন করা; অবিলম্বে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহার করা; দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ প্রক্টরকে পদত্যাগ এবং গত মঙ্গলবারের তাদের ওপর হামলাকারীদের বিচার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।