Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাগরে এলসিটি কাজল দুর্ঘটনা তদন্তে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা

| প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গোপসাগরে পর্যটক-জাহাজ এলসিটি কাজল দুর্ঘটনার দু’সপ্তাহ পার হলেও কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি। অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ (আইএসও) ১৯৭৬ এর ৪৪ ও ৪৫ ধারায় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন না করায় সংশ্লিস্টদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২৫০ জন যাত্রীর মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসার এই ভয়াবহ ঘটনা তদন্তে সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ চেয়েছে বেসরকারি সংগঠন নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
গতকাল রোববার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে লেখা এক চিঠিতে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন ও দায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার জলসীমায় ভেসে বেড়ায় ২৫০ জন পর্যটকবোঝাই এলসিটি কাজল। খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন অন্য একটি জাহাজ নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করে। কোস্টগার্ড, বিজিবি ও টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সার্বক্ষণিক পর্যটকদের পাশে থাকায় বড় অঘটন থেকে রক্ষা পান পর্যটকেরা।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি বরাবর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডবিøউটিসি) মালিকানাধীন সী-ট্রাক এলসিটি কাজল কয়েক বছর আগে স্ক্র্যাপ (চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য বা ভাঙাড়ি) হিসেবে ঘোষণার পর বিক্রি করা হয়। নিলামে ক্রয় করা স্ক্র্যাপ জাহাজটি আইন লঙ্ঘন করে ব্যক্তিনামে পুন:নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ দেয় নৌবাণিজ্য দপ্তর। একইভাবে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর জাহাজটিকে বে-ক্রসিং (সাগর উপকূল অতিক্রম) ও সেন্টমার্টিন-টেকনাফ উপকূলীয় নৌপথে চলাচলের জন্য ভয়েজ ডিক্লারেশন দেয়। এরপর জাহাজটি দু’দফা দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার পর নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত ২০ জুন এক চিঠিতে এলসিটি কাজলসহ দুটি জাহাজ স্ক্র্যাপ করার জন্য নৌবাণিজ্য দপ্তরের মূখ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। বিআইডবিøউটিসির স্ক্র্যাপ জাহাজ এলসিটি কাজল ও এলসিটি কুতুবদিয়া নিলামে বিক্রির পর কীভাবে নিবন্ধন, ফিটনেস ও চলাচলের অনুমতি পেলো, তা নিয়েও ওই চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন মহাপরিচালক। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই স্ক্র্যাপ জাহাজকে চলাচলের সুযোগ দিয়ে পর্যটকদের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ফেলা হয়েছে।
জাতীয় কমিটির চিঠিতে এলসিটি কাজলসহ এ ধরণের স্ক্র্যাপ জাহাজকে ব্যক্তিনামে পুন:নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ, বে-ক্রসিংয়ের অনুমতি ও ভয়েজ ডিক্লারেশন প্রদানের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ জানানো হয়। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অবিলম্বে সাময়িক বরখাস্তের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ