চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবীণ সংবাদপত্র এজেন্ট ও দেশে সংবাদপত্র বিপণনের পথিকৃৎ, সিমেন্ট ও স্টিল-আয়রন সামগ্রী ব্যবসায়ী, সমাজসেবক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসহাক গত শনিবার রাতে ঢাকার অ্যাপেলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত কিডনী ও লিভার জনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি ৩ ছেলে, ৫ মেয়েসহ অগণিত গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল (রোববার) বাদ আছর নগরীর চান্দগাঁও বাকলিয়া মজিদিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন হযরত তাজউদ্দিন শাহ্ (রহঃ) জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আবদুর রশীদ কাদেরী। জানাজায় নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী, এজেন্ট, হকারসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে বাকলিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
মোহাম্মদ ইসহাকের (ইসহাক মিয়া সওদাগর হিসেবেও পরিচিত) ইন্তেকালের খবরে সংবাদপত্র শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি চট্টগ্রাম শুধুই নয়; সমগ্র বাংলাদেশের সংবাদপত্র এজেন্টস তথা বিপণন সমিতির দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব প্রদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে সদালাপী, অমায়িক ও নিরহঙ্কার ব্যক্তি হিসেবে ইসহাক মিয়া সকলের প্রিয়পাত্র ছিলেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক সকল সংবাদপত্রের মালিক, সম্পাদকবৃন্দ, সাংবাদিকসহ সংবাদকর্মী এবং হকারদের সঙ্গে তার ছিল দীর্ঘকালের সুসম্পর্ক।
মোহাম্মদ ইসহাকের ইন্তেকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ, শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। তারা বলেছেন, আজীবন সংবাদপত্রসেবী আলহাজ্ব ইসহাকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন-এর পক্ষ থেকে বিশেষ সংবাদদাতা ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শফিউল আলম সংবাদপত্রসেবী মরহুম মোহাম্মদ ইসহাকের পরিবারবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা জানান এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।