পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদরাসার সাথে জঙ্গীবাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, যারা বুকে ও মাথায় কোরআন ধারণ করে তারা জঙ্গী হতে পারেনা।
প্রকৃত মুসলমানরা কখনো জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না, তাদের কেউই এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত মাদরাসা শিক্ষকদের ঐতিহাসিক মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, প্রথমে বলা হতো মাদরাসার ছেলেরা জঙ্গি। কিন্তু আমি প্রথম থেকেই বলেছি মাদরাসার সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মুসলমানরা কখনো জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না, তাদের কেউই এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। মাদরাসার আলেমরা শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দেন। তাদের নৈতিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলেন। কিন্তু একটা শ্রেণি আছে যারা মুসলমান ও ইসলামের প্রতি কালেমা লেপন করার জন্য জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কোনো জঙ্গি নেই। কারণ, আমাদের দেশের মানুষ আজান পড়লেই মসজিদে ছুটে যায়। এর বড় কারণ আপনারা (আলেমগণ)। আপনারা সুশিক্ষা ও ধর্মের শিক্ষা দিয়েছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ ধর্ম শিক্ষায় আলোকিত। আমার জোর গলায় বলতে পারি অন্যান্য দেশে যে সমস্ত জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের আক্রমণ হয় সে সমস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশ আলাদা। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। ষড়যন্ত্র কোথায় দাঁড়িয়েছে- এ বিষয়গুলো খেয়াল না করলে আমরা পথ হারিযে ফেলবো। পৃথিবী ব্যাপি বলা হচ্ছে ‘অল হিউমন আর নট টেরোরিস্ট বাট অল টেরোরিস্ট আর মুসলিম’ (সকল মানুষ সন্ত্রসী নয়, তবে সকল সন্ত্রাসীই মুসলমান) এটা দিয়ে কি বার্তা দেয়া হচ্ছে সেটা আপনাদের বুঝতে হবে। যারা জঙ্গীপনা করছেন তারা ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের ওপর কালিমা লেপন করতেই এসব করছেন।
আলেমরা জঙ্গিবাদের বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, আপনারা দেশ ও সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে আপনারা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। আজকে সে জন্য বলতি পারি আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। এরা জঙ্গী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশয় দেয় না। এরা খাঁটি মুসলমান। প্রধানমন্ত্রী একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাহাজুদের সাথে আদায় করে, কোরআন তেলোয়াত করে দিনের কাজ শুরু করেন। আমরা আলেম-ওলামাদের জন্য যখন যা প্রয়োজন বলেছি তিনি তাই করেছেন। কারণ তিনি ইসলাম প্রিয়। সবসময়ই আলেম-ওলামাদের ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন। আপনাদের সব চাওয়া-পাওয়া বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দেখেছেন কওমী মাদরাসার সনদের সীকৃতি ‘অনেকদিন চেষ্টা হয়েছে অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দিলেন। তিনি আলেম-ওলামাদের যে ভালো বাসেন এবং ইসলামের প্রতি যে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে তারই স্বীকৃতি হল কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি। একইভাবে আপনাদের প্রাণের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন।
এরপরও আপনারা অনেক ছোট-খাট দাবি রয়েছে। দেখুন আমরা পথ চলা শুরু করেছি। আমাদের সবকিছুই সুসম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের দাবি বড় কিছু নয়, সময়মতো ক্ষমতা অনুযায়ী করা হবে। যেগুলো দাবি তুলেছেন এগুলোর সবগুলোই একের পর এক পূরণ করা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কামাল বলেন, আপনারা যে ধর্মের কথা নবিজীর কথা আল্লাহর কথা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সে জন্যই আমরা আজ আলোকিত।এটিই আমাদের এগিয়ে যতে সহায়তা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।