পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল শনিবার লাখ শিক্ষকের মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রনে পুলিশের ভ’মিকা ছিল প্রশসংনীয়। সম্মেলনের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় সংগঠনের স্বেচ্ছা সেবকরাও এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষকদের মহাসম্মেলনে দু’লাখের অধিক শিক্ষক জমায়েত হলেও তাদের শৃংখলা সকলের দৃষ্টি কেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ঢাকা মহানগর পুলিশ পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করলেও মহাসম্মেলনের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় স্বেচ্ছা সেবকদের সক্রিয় ভ’মিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ব্যক্তিগতভাবে সমাবেশ স্থলে এসে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষন করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার সার্বক্ষনিক দিক নির্দেশনা দেন নিরাপত্তায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে থেকে গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে শত শত বাস রাজধানীতে আসতে শুরু করে। গতকাল শনিবার ভোরে এর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩হাজার। প্রত্যক্ষদর্শী ও সমাবেশে আগত শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা বিপুল সংখ্যক বাস রাজধানী নিয়ে আসলেও ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্টাফিক ব্যবস্থাপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল করিমের দিক নির্দেনায় রাজধানীতে বড় ধরনের যানজট বা সাধারন মানুষের হয়রানী ছাড়াই গাড়ি ব্যবস্থাপনা করা হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষকদের মহাসমাবেশে আগত পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এটি বিশাল মহাসম্মেলন হলেও আগতদের শৃংখলা বোধ নজরকাড়ার মতো। এত বড় মহাসম্মেলনে বক্তার দেয়া বক্তব্যের শব্দ ছাড়া অন্য কোন শব্দ নেই বললেই চলে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, দেশের মাদ্রাসার শিক্ষকরা যে কত নিয়ম শৃংখলার মধ্যে জীবন যাপন করেন এটিও তার একটি উদাহরন। তাছাড়া সমাবেশ দেখে মনে হচ্ছে আগতরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধা ও আস্থাশীল। তারা সংগঠনের সভাপতি দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনকে যে অন্তর থেকে ভালবাসেন এটিও এর একটি দৃষ্টান্ত। সমাবেশ সূত্রে জানা গেছে, মহাসম্মেলনের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় প্রায় একহাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথের পাশাপাশি মঞ্চসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতি সকলকে আশ্বস্ত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।