পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আবেগ-উচ্ছ্বাস
রাজধানী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসম্মেলনে মহাজাগরণের ঢেউ লেগেছে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলেও।
বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামে গতকাল (শনিবার) দিনভর সর্বস্তরের সচেতন তৌহিদী জনতার মাঝে আলোচনায় উঠে আসে মহাসম্মেলনের বিষয়টি। চট্টগ্রামবাসী টিভি চ্যানেলসমূহ, দৈনিক ইনকিলাবসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ-মিডিয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমগ্র দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, খতিব-ইমামদের অভূতপূর্ব মহাসমুদ্রের উত্তাল জাগরণের খবরাখবর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। সবার মুখে মুখে একই কথা শোনা গেছে আলাপে-আড্ডায়, মহাসম্মেলন পুরোপুরি সফল হয়েছে- সার্থক হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক এবং পেশাজীবী সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মহাসম্মেলনে সারাদেশের স্রোতের সঙ্গে বৃহত্তর চট্টগ্রামের টেকনাফ থেকে মীরসরাই পর্যন্ত বিশাল এ অঞ্চলের মাদরাসা অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মচারীগণ অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হন। মহাসম্মেলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন যাবত তাদের মাঝে লক্ষ্য করা গেছে সীমাহীন উৎসাহ-উদ্দীপনা।
চট্টগ্রাম থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসম্মেলনে যারা যাননি বা যেতে পারেননি তারা সেখানে উপস্থিত থাকা সহকর্মীদের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়েছেন সার্বক্ষণিকভাবে। আর যারা গেছেন তারাও স্থানীয় সহকর্মী ছাড়াও ইসলামপ্রিয় এলাকাবাসী বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-পরিজনদের কাছে সর্বাত্মক সফল হওয়া লাখ লাখ আলেম-মাশায়েখদের এই মহাসম্মেলন এবং তার ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে পারায় উচ্ছ¡াস-আবেগ প্রকাশ করেছেন। এমননিভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাথে মিলিত হয়েছে যেন সমগ্র বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মহাসম্মেলনের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, উদ্বোধক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি, মাদরাসা ও কারিগরি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আলমগীর, জমিয়াতের মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা শাব্বির আহমদ মোমতাজীসহ বিশিষ্ট বক্তাদের মহাসম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য সম্পর্কেও আলেম-মাশায়েখগণ জানার ব্যাপারে বেশ কৌতুহলী দেখা গেছে। প্রধানত সারাদেশ থেকে জমিয়াতের ডাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যে জনসমুদ্রের জোয়ার ছড়িয়ে পড়তে টেলিভিশন চ্যানেলেও দেখা গেছে তাতে স্পষ্টতই বোঝা গেছে, গতকাল এটি ছিল আলেম-মাশায়েখদের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এবং সুশৃঙ্খল মহাসমাবেশ। এরফলে চট্টগ্রামেও আলেম সমাজকে আনন্দ-উচ্ছ¡াস ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।
এই মহাসম্মেলনে অংশগ্রহণকারী চট্টগ্রাম মহানগরী জমিয়াতের সেক্রেটারি ও আল-আমীন বাড়িয়া কামিল মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল নোমানীর অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, লাখ লাখ আলেম-ওলামা সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করে মহাসম্মেলনকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে অনেকেই গেছেন। অল্পদিনের নোটিশে এত বিশাল এক মহাসমুদ্রের মতো ঐতিহাসিক জমায়েত এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেও সম্ভব নয়। তাই মহাসম্মেলন আমি মনে করি আশাতীত সফল হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।