Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে ৪০ পরিবারের সাফল্য

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো) সার উৎপাদন করে শান্তিরাশ ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪০টি পরিবার ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে।
জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলামের সঠিক নির্দেশনা ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্বাবধানে পরিবেশ বান্ধব ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন এবং জমিতে প্রয়োগ করে অধিক ফলন পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। অল্প খরচে বাড়িতে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন দিন দিন বেড়েই চলছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বিভিন্ন প্রকার জৈব বস্তু বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর পাচন ক্রিয়ার ফলে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা হয়। কেঁচো প্রায় সকল প্রকার জৈব পদার্থই গ্রহণ করতে পারে । কেঁচো বস্তু সামগ্রী উপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে উপরে তুলে থাকে। এসব কাজের সাথে কেঁচো সার তৈরি হয়। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে ৩০-৪০ দিন সময় লাগে। ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে গরু, ছাগল, হাস,মুরগির বিষ্ঠা নাড়িভুঁড়ি, তরকারি, কালাই, সরিষা, গম, লতা, পাতা, ধান, গমের ভূষি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এক হতে দেড় ফুট উচ্চতা বিশিষ্ঠ মাটির পাত্র, কাঠের বাক্স, সিমেন্টের পাত্রের তলদেশে ৩ ইঞ্চি পরিমান ইটের টুকরা বিছিয়ে তার উপর ১ ইঞ্চি বালু দিতে হবে। তারপর কম্পোস্ট উপকরণ দিয়ে একটি করে পাত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক কেঁচো গড়ে কেজি প্রতি ১০টি করে ছেড়ে দিতে হবে। মাঝে মাঝে হালকা পানি ছিটাতে হবে। এভাবে কেঁচো সার তৈরি হয়ে যায়। শান্তিরাম গ্রামের শংকর চন্দ্র সরকার জানান তিনি ২০১৬ সাল হতে ১০টি পাত্রে কেঁচো সার তৈরি করে আসছেন। তিনি ওই সার দিয়ে তার ৫ বিঘা জমি আবাদ করার পর অন্য কৃষকের নিকট প্রতি মৌসুমে কেঁচো সার বিক্রি করে থাকেন। তিনি আরও বলেন রাসায়নিক সারের চেয়ে কেঁচো সার ব্যবহার করে ফলন বেশি পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান উপজেলার শান্তিরাম এবং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪০টি পরিবারের মাঝে ভার্মি কম্পোস্ট প্রর্দশনী দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই ৪০টি পরিবার ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়া ভার্মি কম্পোস্ট একটি পরিবেশ বান্ধব সার। রাসায়নিক সারের চেয়ে এর গুনগত মান অনেকটা ভাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ