Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুমেক হাসপাতাল পরিচালকের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা উপেক্ষিত

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সমীর কান্তি সরকার স্বাক্ষরিত নিয়োগবিধি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারীর হস্তগত হলেও তিনি বিষয়টির নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিজ ক্ষমতাবলে হাসপাতালের অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিকে হিসাব রক্ষকের (চলতি দায়িত্ব) পদে বসিয়েছেন। এঘটনায় গোটা হাসপাতালে সমালোচনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দ্য বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস (নন-মেডিক্যাল অফিসারস অ্যান্ড এমপ্লয়িজ রিক্রুটমেন্ট) রুলস-১৯৮৫ নিয়োগবিধির বৈধতা নেই। ওই নিয়োগবিধি প্রয়োগের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ কিংবা নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম গ্রহণের সুযোগ নেই। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন শ্রেণির (১১নং থেকে ২০ নং গ্রেড পর্যন্ত) শুন্যপদে নিজ বেতনে বদলী/চলতি দায়িত্বে বদলী এবং পদোন্নতির আদেশ দিচ্ছেন। যা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মোতাবেক পরিপন্থি। ইতিমধ্যে এধরণের কোন আদেশ জারী করা হয়ে থাকলে তা বাতিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা না মেনে অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক আবদুল মোতালেব মিয়াকে হিসাব রক্ষকের চলতি দায়িত্ব দিয়েছেন। হাসপাতালের ১১নং থেকে ২০ নং গ্রেডের স্টাফদের চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের হাজিরা রেজিষ্টারে দেখা গেছে আবদুল মোতালেব মিয়া হিসাব রক্ষক পদে এবং অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে উপস্থিতির স্বাক্ষর দিয়ে আসছেন। ইতিপূর্বে হিসাব রক্ষকের শুন্যপদের চলতি দায়িত্বে ছিলেন প্রধান সহকারি দেলোয়ার হোসেন।
হিসাব রক্ষক পদে মোতালেবের চলতি দায়িত্বের নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা, স্বপন কুমার অধিকারী বলেন, ‘মোতালেবের বিষয়টি নিয়ে অনেক কিছুই হচ্ছে। যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তারাই এটি নিয়ে চিঠি চালাচালি করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার কোন ফলোআপ নেই। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এরকম নিয়োগ হয়েছে। এগুলো বহাল রয়েছে। আমি নিয়ম ভঙ্গ করে এটি করে থাকলে আমার দায়। তবে আমি যেটা করেছি জেনেশুনে সবকিছু দেখেই করেছি। এটিই আমি প্রথম করেছি এবং এটিই শেষ। বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যথা তো আমার, অন্য কারোর নয়।’ এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অমান্য করে অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিককে হিসাব রক্ষকের চলতি দায়িত্ব দেয়ায় হাসপাতাল জুড়ে চলছে সমালোচনা। উল্লেখিত গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে বইছে চাপা ক্ষোভ। হাসপাতালের এসব গ্রেডের স্টাফরা বলছেন যেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগবিধি তৈরির কাজ চলমান রয়েছে, সেখানে নিয়োগবিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত পরিচালকের এধরণের কার্যক্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ