রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নরসিংদীসহ দেশের হাট-বাজারে লম্বা বেগুনের তীব্র সংকট বিরাজ করছে। বাজার থেকে লম্বার বেগুন উধাও প্রায় হয়ে গেছে। আপদকালীন সব্জী হিসেবে পরিচিত বেগুনই এখন সংকটে সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। আর এই সংকটের সুযোগে মধ্যস্বত্তভোগী ফড়িয়ারা যথেচ্ছভাবে বেগুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে এখন ১ কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পোকড়া বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। অতীতে মাঘ মাসে বেগুনের এতটা সংকটের কথা কখনো শুনা যায়নি। নরসিংদীর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বেগুনের এই উর্ধমূল্যের জন্য অগ্রাণ ও পৌষ মাসের বৃষ্টিকে দায়ী করেছে। তারা বলেছে, অগ্রাণ পৌষ মাসে বৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ বেগুন ক্ষেতই নষ্ট হয়ে গেছে। যা কিছু বাকী রয়েছে তাতে ফলন হচ্ছে কম। সচেতন ক্রেতারা জানিয়েছে, পৌষ মাঘ মাসে ফুলকপি, পাতাকপি, ব্রোকলী, মূলা, উচ্ছে, টমেটো, শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, নতুন গোল আলু, বিভিন্ন প্রকার শাক ইত্যাদি শাক-সব্জীর ব্যাপক আধিক্য থাকায় বেগুনের ব্যবহার কিছুটা কমে যায়। যার ফলে বেগুনের দাম থাকে খুবই কম। বিভিন্ন জাতের বারোমাসী বেগুন সব্জী হিসেবে সব সময়ই পাওয়া যায় বলে মানুষ বিভিন্ন শাক-সব্জীর খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে বেগুন খেয়ে রুচি পরিবর্তন করে নেয়। কিন্তু এ বছর সকল শাক-সব্জীর দাম বেশী থাকায় মানুষ ব্যাকুল হয়ে বাজারে লম্বা বেগুন খোঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী মানুষ বেগুন খোঁজে পাচ্ছে না। ফড়িয়াদের টুকরীতে যা কিছু বেগুন পাওয়া যাচ্ছে তার দাম শুনে সাধারণ ক্রেতাদের চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে। অর্থনীতির সংজ্ঞা অনুযায়ী চাহিদা কম থাকলে দামও কম থাকার কথা। এ ক্ষেত্রে বেগুনের অগ্নিমূল্য অর্থনীতির তত্বকেও ¤øান করে দিয়েছে। লম্বা বেগুন সাধারণত সাধারণ মানুষের সব্জী। বেগুন পছন্দ করে না এমন সাধারণ মানুষের সংখ্যা খুবই কম। নরসিংদীসহ দেশের গরীব পরিবারগুলো সকালে বেগুনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খায়। বেগুন এমন একটি সব্জী, যার সাথে প্রায় সকল প্রকার মাছের রাসায়নিক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ যে কোন মাছ দিয়েই বেগুন রান্না করে খাওয়া যায়। ইলিশ, পাঙ্গাস, চিংড়ি, রুই, কাতল, আইর, বোয়াল ইত্যাদি বড় মাছের সাথে বেগুনের ঝোল খুবই মুখরোচক খাবার। গ্রামে-গঞ্জে চিংড়ি দিয়ে বেগুন বোনা করে জামাইদেরকে আপ্যায়ন করা হয়। নরসিংদীর চরাঞ্চলে মেহমানদারীতে প্রথমেই চিংড়ি দিয়ে তৈরী বেগুনের বোনা পরিবেশন করা হয়। প্রবাদ আছে, “য্যায়সার সাথে তেয়সা মিলে, শুটকির সাথে বেগুন মিলে”। যে কোন মাছের শুটকি দিয়ে বেগুন রান্না করে খাওয়া বাঙালী পরিবারের যুগ যুগের ঐতিহ্য। সকালে বেগুন পোড়া দিয়ে হাত কচলানো ভর্তা প্রায় প্রতিটি পরিবারের প্রাত্যহিক খাবার। আবার শুটকীর সাথে বেগুনের বাটনা ভর্তারও ব্যাপক কদর রয়েছে বাঙালী সমাজে। এখন দেশের নামী-দামী হোটেলগুলোতেও বেগুনের ভর্তা চড়া দামে বিক্রি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।