Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকায় পৌঁছেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ৮:৩১ পিএম

ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার অনুবিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে।

দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে উইদোদোর বাংলাদেশে আগমন। ভারতের ৬৯তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যোগদান শেষে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিল্লি থেকে সরাসরি ঢাকায় আসেন।

জোকো উইদোদোকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম। বিমান থেকে নেমে আসার সময় ২১ বার তোপধ্বনিতে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ও ফার্স্ট লেডিকে।

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে নিয়ে মঞ্চে আসার পর দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। পরে সফররত রাষ্ট্রপ্রধান গার্ড পরিদর্শন করেন। গার্ড পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সবার সঙ্গে পরিচিত হন উইদোদো।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার সম্মানে বঙ্গভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে কক্সবাজারের উখিয়ায় যাবেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তার সফর উপলক্ষে কক্সবাজারে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ান উপপ্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। এবারই প্রথম বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রাধন রোহিঙ্গা শিবিরে যাচ্ছেন।

গত আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। গণহত্যা থেকে বাঁচতে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া রোহিঙ্গা নিধনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। রোহিঙ্গা নিধন শুরুর পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিকে দুই দফা বাংলাদেশে আসেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশ ইন্দোনেশিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ