Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপর্যয় এড়াতে সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে -মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন দুই লাখের কাছাকাছি ছাত্র সংখ্যার সাতটি সরকারী কলেজের অধিভূক্তি প্রশ্নে সরকারকে দ্রæত সমাধানে আসতে হবে। অন্যথায় উক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অপুরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাদের অনার্স পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া ও ফলাফল প্রকাশের উপর তাদের অনেক কিছু নির্ভর করছে। এক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতায় সরকারী চাকুরীর বয়স কমে যাওয়া এবং নারী শিক্ষার্থীদের বিয়ে শাদী বিলম্বিত হওয়াসহ সামাজিক নানা বিপর্যয় দেখা দিবে। এ বিপর্যয় এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সকল পক্ষের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে বিকল্প কোন ব্যবস্থায় তাদের অনার্স পরীক্ষাসহ সকল সমস্যা সমাধানে সরকারকে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত অনেক তুঘলকি কান্ড ঘটছে, যা অবিবেচনাপ্রসূত বলে সচেতনমহল মনে করে।
রোহিঙ্গা শিবিরে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণে জমিয়তে ওলামা
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। প্রতিনিধি দলটি বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে জমিয়ত কর্তৃক নির্মিত মসজিদ, মক্তব ও মাদ্রাসাও পরিদর্শন করেছেন এবং ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মক্তব-মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে আর্থিক সহায়তাও করেছেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, ঢাকা মহানগর জমিয়তের সহসভাপতি ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস মুফতী জাকির হোসাইন ও মাওলানা মুনির আহমদ।
প্রতিনিধি দলের সদস্য মুফতী জাকির হোসাইন বলেন, জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নির্দেশে প্রায় দুই লক্ষ টাকার শীতবস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কুতুপালং ক্যাম্পে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরপর কুতুপালং, থেইংখ্যালী ও বালুখালী ক্যাম্পে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ডজনখানেক মসজিদ, মক্তব ও মাদ্রাসা পরিদর্শন করে এসব প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলেছি। মাশাআল্লাহ, মসজিদসমূহে নিয়মিত নামায আদায় হচ্ছে এবং মক্তব ও মাদ্রাসাসমূহে যথারীতি পাঠদানও চলছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে আমরা কিছু আর্থিক সহযোগিতাও করি। এরপর আমরা জমিয়ত কর্তৃক স্থাপিত গভীর ও অগভীর শতাধিক নলক‚প এবং আরো শতাধিক বাথরুম ও গোসলখানা ঠিকঠাক আছে কিনা, পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে কয়েকটি টিউবওয়েলে পানি ওঠছে না। আমরা সেগুলো দ্রæত মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ