পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় ছুটির দিনে জমে উঠেছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। গতকাল শুক্রবার ছিল মেলার ২৬তম দিন। শেষ মুহূর্তে ছুটির দিন থাকায় প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে সব বয়সের ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গণ। গতকাল সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, মাসব্যাপী মেলার শেষ সময় এবং ছুটির দিন হওয়ায় জমে উঠেছে কেনাবেচা। যেন কেনাকাটার মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন¯্রােতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না মেলা প্রাঙ্গণে।
পণ্য বিক্রি ও ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। দর্শনার্থীদের ঢল মেলা প্রাঙ্গণ ছাপিয়ে আশপাশের রাস্তায় দীর্ঘলাইনে থাকতে হয়েছে। মেলার চারপাশের রাস্তায় ছিল তীব্র যানজট। এদিকে মেলার শেষ সময়ে মেলার অফার ও ছাড়ে কেনাকাটার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না অনেকেই।
আয়োজক কমিটির এক সদস্য জানান, অন্য সব বছরের শেষ ছুটির দিনের চেয়ে এবার অনেক বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থী মেলায় আসছেন।
বিকেলের দিকে মেলা প্রাঙ্গনে দেখা যায়, মেলায় প্রধান গেটে অপেক্ষায় ছিলেন দর্শনার্থীরা। সপরিবারে, সবান্ধব, সহপাঠীদের নিয়ে দল বেঁধে মেলায় এসেছেন অনেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। দর্শনার্থীর জন¯্রােতে মেলার মাঠে ফাঁকা জায়গা দেখা যায়নি। ছুটির দিন বলেই সব স্টল-প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় ছিল উপচে পড়া।
স্টল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার কেনা-বেচা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। তাছাড়া শেষ সময়ে এখন সব স্টল ও প্যাভিলিয়নে বিক্রি শেষ করতে ছাড় ও বিশেষ অফার চলছে। এ কারণে ক্রেতাদের ভিড় বেশি হচ্ছে।
মেলার শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের ছাড়ের সুবিধা দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। অনেকে আবার আগের মূল্যের সঙ্গে নতুন করে ‘বিশেষ ছাড়’ যোগ করেছেন। মেলায় ব্র্যান্ডবিহীন বিভিন্ন বেøজার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এতদিন এক হাজার ৬০০ থেকে আড়াই হাজার টাকায় বেøজার বিক্রি করেছেন। কিন্তু আজ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকেই ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায় বেøজার বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণে নারী ও তরুণীরাই বেশি কেনাকাটা করছেন। বিশেষ করে পোশাক কেনার ধুম ছিল। এছাড়া গহনা, শাল ও চাদর, প্রসাধনসামগ্রী, প্লাস্টিক পণ্য এবং গৃহস্থালিসামগ্রীর স্টলে ভিড় ছিল বেশি। তবে কোনো স্টলই মুহূর্তের জন্য ফাঁকা দেখা যায়নি।
ইলেকট্রনিকস পণ্যের স্টলগুলোতেও শেষ সময়ে ছাড়ের সুযোগে পছন্দের পণ্য কিনতে ছিল ব্যাপক ভিড়। দেশি-বিদেশি এসব স্টল থেকে ওভেন, টিভি, ফ্রিজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার ধুম পড়েছে।
পরিবার নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে আসা বেসরকারি চাকুরিজীবি গোলাম জিলানী জানান, মেলার শেষের দিকে। অপরদিকে ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় এসেছি। কারণ আর ছুটির দিন পাওয়া যাবে না মেলায় আসার। বিভিন্ন পণ্যে ছাড় থাকায় পরিবারের কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।