বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে : খুলনার কয়রায় কালের আবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী খেলাধূলা। আজকের বৃদ্ধরা শৈশবে খেলাধূলা না দেখতে পেয়ে ভুলে গেছেন অনেক খেলার নামও। এক সময় গ্রামের শিশু ও যুবকরা পড়াশোনার পাশাপাশি খোলা মাঠে দলবেঁধে খেলতো এসব খেলা। শৈশবের দুরুন্তপনায় জড়িয়ে থাকতো সকল শিশু ও যুবকদের। কিন্তু অধুনকি সভ্যতার ছোঁয়া ও কালের বির্বতনে প্রাচীন কালের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব খেলাধূলা ও খেলার মাঠ, বিল ইত্যাদি।এসব খেলাধূলা এক সময় আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃিতর ঐতিহ্য বহন করত। বর্তমানে গ্রামীণ খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। পাড়া গায়ে সকাল বিকাল প্রচলিত কাবাডি, গোল্লাছুট, বৌচি, কানামাছি প্রভৃতি গ্রামীণ খেলার প্রচলন নেই। গ্রাম বাংলার খেলাধূলার মধ্যে যে সব খেলা হারিয়ে গেছে তাদের মধ্যে হা-ডু-ডু, কাবাডি, গোল্লাছুট, হাড়িভাঙ্গা, বুদ্ধিমন্তর, কাঠি ছোঁয়া, দড়ি লাফানো, দড়ি টানাটানি, চেয়ার সেটিং, রুমাল চুরি, কানামাছি, ওপনি্েট বাইস্কোপ, নৌকাবাইচ, ঘোড়দৌড়, আগডুম বাগডুম, কপাল টোকা, বউরানী, ছক্কা, লাঠি খেলা, রাম সাম যদু মদু, চোর ডাকাত, র্মার্বেল, সাতচাড়া, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই, চিল মোরগ, অন্যতম। ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া এসব খলোধূলা এখন আর তেমন কোথাও চোখে পড়ে না। ৫নং কয়রা গ্রামের ষাট উর্দ্ধ আঃ গফুর হাওলাদার বলেন নতুন প্রজন্মরে কাছে এগুলো এখন শুধুই গল্প। আবার নাম শুনে অনকেইে হাসে। গ্রামের এসব খেলাগুলোর মধ্যে হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, বৌচি, লাঠি^খেলা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এসব খেলা চলাকালে শতশত মানুষরে ঢল নামতো খেলা প্রাঙ্গণ। কিন্তু এখন গ্রামের খোলা মাঠ কমে যাওয়ায় এসব খেলা শুধুই স্মৃতি। কপোতাক্ষ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়া শিক্ষক সদর উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অবশ্যই গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন গঠন করা অতি জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।