Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লালপুরে বিনা চাষে রসুনের আবাদ বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাটোরের লালপুর উপজেলায় দিন দিন বেড়ে চলেছে রবি মৌসুমের বিনা চাষে রসুনের আবাদ। কমে গেছে রবি মৌসুমের অন্যান্যে ফসলের চাষ। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম এলাকার জনপ্রিয় বিনা চাষে রসুনের আবাদ এই এলাকার কৃষকের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলায় কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে রবি শস্য চাষের। লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের চাষ হয়ে ছিলো। চলতি রবি মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯৫ হেক্টর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় তিন গুন। গত বছরে উপজেলায় রবি শস্য (গম: ৬০২৫ মসুর: ৯০০০ খেসারী: ৫৩৫ সরিষা: ২৮৮ মটর:১৭০) মোট ১৬০১৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিলো। চলতি মৌসুমে (গম: ৪৮০০ মসুর: ৫৫৫০ খেসারী: ১৫৮০ সরিষা: ২২২ মটর: ৩৭৫) মোট ১২৫২৭ হেক্টর জমিতে রবি শস্যের চাষ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আর রসুনের চাষ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২২৯৫ হেক্টর জমিতে প্রায় তিন গুন। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন ইনকিলাব কে বলেন, উপজেলায় প্রতি বছরি রসুনের চাষ বাড়লেও এবছর উল্লেখযোগ্য হারে বিনা চাষে রসুনের চাষ বেড়েছে। সেতুলনায় রবি মৌসুমের অন্যান্যে শস্যের চাষ কিছুটা কমেছে। তবে বছরের প্রথম থেকে অতিবৃষ্টির কারণে এখনো অনেক জমিতে পানি জমে রয়েছে যার কারণে ঐসকল জমিতে রবি শস্যের চাষ করা যায়নি। তবে কিছু পতিত্ত জমি যে সকল জমিতে কোন দিন ফসলের চাষ হতে দেখা যাইনি সেখানেও এ বছর বোর ধানের চাষ হতে দেখা যাচ্ছে।
বিনা চাষে রসুন চাষের সুবিধা সম্পর্কে স্থানীয় চাষী রবিউল, আবুল কাসেম, তয়জাল, লিয়াকত আলী ইনকিলাব কে জানায়, বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধান কেটে জমি চাষ না দিয়ে (বিনা চাষে) শুধু জমি পরিস্কার করেই রসুনের (কোয়া)বীজ বপন করা হয়। এবং রসুনের উপরে সামান্য পরিমানে রাসায়নিক সার ছিটিয়ে হালকা খরকুটু দিয়ে ডেকে দিলেই রসুনের গাছ হয়ে যায়। আর প্রয়োজন মতো দুই একবার পানি সেচ ও রসুনের জমির একবার আগাছা দমন করলেই স¤পূর্ণ রুপে রসুন হয়ে যায়। এতে এক বিঘা জমিতে রসুন উৎপাদন হয় ৩০-৩৫ মন। আর বিঘা পতি খরচ হয় ১৫-১৭ হাজার টাকা। যা অন্য আবাদের চেয়ে কম খরচে সল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভ করা য়ায় বলে এই অঞ্চলের কৃষকগণ অন্য ফসল চাষ ছেড়ে রসুন চাষের উপরে ঝুকছে। ওয়ালিয়া গ্রামে রসুন চাষী হাবিবুর রহমান, সোহেল রানা, মোস্তফা বলেন, এবছরের শুরুতেই আবাহাওয়া প্রতিকুল থাকলেও বর্তমানে তা কেটে গেছে।এখন পর্যন্ত রসুনের তেমন কোন রোগ দেখা যায়নি তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে রসুনের আশানুরূপ ফলন হবে। উৎপাদিত রসুনের সঠিক দাম পেলে আগামীতে এই অঞ্চলে রসুন চাষের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন এই অঞ্চলের চাষীরা। উৎপাদিত রসুন এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ