Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালবাগ কেল্লার সীমানায় দুই অবৈধ বাড়ি উচ্ছেদ

| প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : লালবাগ কেল্লার সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দুটি বাড়ি উচ্ছেদ করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী জানান, প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই অভিযান শুরু হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অসীম কুমার দে জানান, ৬ দশমিক ২ শতক জায়গা জুড়ে থাকা বাড়ি দুটি নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলছিল।
২০১৭ সালের ৩১ মে সুপ্রিম কোর্ট প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের পক্ষে রায় দেয়। সেখানে তিন মাসের মধ্যে স্থাপনা দুটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্ছেদ করার আগে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর যেন এ দুই বাড়ির মালিক হাজী মোহাম্মদ আবুল হাশেম ও মোহাম্মদ হারুনুর রশীদকে ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় সেই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অসীম কুমার দে জানান, আবুল হাশেম তার ক্ষতিপূরণ বুঝে নিয়ে বিনা শর্তে বাড়ি ভাঙার কাজে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু হারুনুর রশীদ ক্ষতিপূরণ বাবদ তার ২২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৪ টাকার চেক এখনো নেননি।
হারুন ওই টাকা নিতে রাজি নন। তিনি বলছেন, তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও বেশি টাকা দিতে হবে। তিনি আবারও রিট করবেন। আদালত তখন ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা দিতে বলবে, আমরা দেব। তিনিও সে শর্তে রাজি। তবে গতকাল তার বাড়িটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়ি দুটি ভাঙার সময় দুই মালিকই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
এদিকে বাড়ি ভাঙার সময় দেখা যায়, দুটো বাড়ির বেজমেন্টেই লালবাগ কেল্লার দেয়ালের ইট ব্যবহার করা হয়েছে, যা প্রতœতত্ত¡ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার আঞ্চলিক পরিচালক রাখি রায় জানান, তারা এ বিষয়টি পরে খতিয়ে দেখবেন।
লালবাগ কেল্লার তত্ত¡াবধায়কদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে দুই মালিক অবৈধভাবে ওই দুই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। কেল্লার সীমানার ভেতরে বাড়ি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘বাধার শিকার’ও হতে হয়েছে অনেক সময়।
প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, দুটি বাড়ির মালিকানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তন হয়েছে। তবে কেল্লার সীমানার ভেতরে কারা ওই দুই বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন, সে তথ্য তারা জানাতে পারেননি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গাজী মোহাম্মদ ওয়ালিউল হক, সংস্কৃত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অসীম কুমার দে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শারমিনা সাত্তার, লালবাগ কেল্লার কাস্টোডিয়ান হালিমা আফরোজ, লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবাস কুমার পাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ