পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন পুলিশ ক্লোজড তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রাম ব্যুরো ও সীতাকুন্ড সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ভাটিয়ারীতে জনতার উপর পুলিশের গুলিতে এক তরুণ নিহত ও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত এলাকাবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে এসময় মহাসড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ ২০কিলো মিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত মোঃ সাইফুল ইসলাম (১৭) ওই এলাকার শামসুল আলমের পুত্র। গুলিবিদ্ধ ইমরান আলী জয় (২০) ও কবির আহমদ ভোলাকে (৫২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার রাতে উপজেলার ভাটিয়ারী ৯নং ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদা পোশাকে সীতাকুন্ড থানার এসআই নাজমুল হুদা ভাটিয়ারী তেলীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ফারুক ও তার ভাই পারভেজকে আটক করে। তাদের গাড়িতে তোলার সময় তারা চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী ও ডাকাত ডাকাত করে চিৎকার করে। পরে এলাকাবাসীর সাথে সাদা পোশাকের পুলিশ স্থানীয়দের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ী গুলি ছুঁড়লে সাইফুল ইসলাম বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ হন ইমরান আলী জয় ও কবির আহমেদ ভোলা। তরুণ সাইফুলের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান নাজিম উদ্দিন এসে অবরোধকারীদের আশ্বাস দিলে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
এ ঘটনার পর পুলিশের এসআই নাজমুল হুদা এবং তার সাথে থাকা কনেস্টোবল মোঃ কাসেম ও আনসার সদস্য ইসমাইলকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হাসান। তিনি আরো জানান, এঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুশিউদৌলাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে নিহতের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ছেলে একটি শিপ ইয়ার্ড থেকে বেতন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাদা পোশাকে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, প্রত্যাহার করে নেয়া পুলিশ সদস্যদের দাবি তারা ওই গ্রামে আসামি ধরা ও ইয়াবা থাকার কথা জানতে পেরে অভিযানে গিয়েছিল। হতাহত ও গ্রামবাসী তাদের আটকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে গুলি ছুঁড়ে। তবে আসলে কী ঘটনা হয়েছিল তা জানার জন্য তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দোষীদের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানোর জন্য উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ আছে। তদন্ত কমিটি যদি পুলিশ সদস্যদের দোষ পেয়ে থাকে তাদের বিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এদিকে পুলিশ সাদা পোশাকে অভিযানে গিয়ে গুলি ছুঁড়ার কথা গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার বলেন, সাদা পোশাকে অভিযানে যাওয়ার কোন বিধান নেই। যেকোন অভিযানেই অবশ্যই পুলিশ সদস্যদের পোশাকে যাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে এবং এ বিষয়ে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পরিপত্রও জারি করা হয়েছিল। পুলিশ সদস্যরা কিভাবে ওই গ্রামে অভিযানে গিয়েছিল তাও তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখছে বলে জানান পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।